বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা - স্পীকার

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা - স্পীকার
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮



নিউজটুনারায়ণগঞ্জঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। বাংলার জনগণের মুক্তির তিনি ছিলেন আপোষহীন। শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে এবং ফাঁসির মঞ্চকে জয় করে তিনি বাঙালি জাতিকে পৌছে দিয়েছিলেন মুক্তির ঠিকানায়। সেকারণে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।

তিনি আজ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত “১৫-আগস্ট জাতীয় শোক দিবস-২০১৮” উপলক্ষে ‘‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনাসভা ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫আগস্টে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের অধিকাংশ সময় কারার অন্তরালে কাটিয়েছেন। কারাগারে থেকেও তিনি স্বাধীনতার প্রশ্নে একটুও পিছপা হননি। তাঁর নেতৃত্বে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল সূর্য্য। ৬ দফা, ৬৯ গণঅভূত্থান, ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ এই রূপে ধাপে ধাপে তিনি নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন।

ড .শিরিন শারমিন চৌধুরী বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণ-বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়াই ছিল তাঁর আজন্ম লালিত স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুর দর্শনই ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের মাধ্যমে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। একারণেই স্বাধীনতার পর পরই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন একটি যুগোপযোগী অনন্য সংবিধান।

“আমার মূল শক্তি আমি বাংলার মানুষকে ভালবাসি- আর আমার দুর্বলতা হলো বাংলার মানুষকে আমি এতো অধিক ভালবাসি”- বঙ্গবন্ধুর এ মহান উক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আর্দশ থেকে বর্তমান রাজনীতিবিদদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও দর্শনকে ঘাতকেরা হত্যা করতে পারেনি। তাই বঙ্গবন্ধু অমর ও থাকবেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। এসময় তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন দোয়া মাহফিলে শরীক হন।

ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান, এমপি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বাবু মুকুল বোস, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবার্হী সদস্য এস এম কামাল হোসেন এবং র্য্যবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।

মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। শোক সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী এ্যাড. মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার , ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার। এ সময় ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০:২৬:৫৫   ২৭৮ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
গুজব উপেক্ষা করে জনগণ ভ্যাকসিন নিচ্ছে
অর্পিত সম্পত্তি বিষয়ক চিহ্নিত সমস্যাগুলো যথাযথ সংশোধন করা হবে - ভূমি সচিব
৬টি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করলো সরকার
ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র - এলজিআরডি মন্ত্রী
হঠাৎ অজানা কারণেই বেড়ে গেলো পেঁয়াজের দাম
স্পীকারের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেজান্ড্রা বের্গ ভন লিনডে-র সৌজন্য সাক্ষাৎ

আর্কাইভ