১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগের ১৭টি পরিবহন সংগঠনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ ডিসেম্বর)। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। ছোট ছোট বাহনে চড়ে তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে হচ্ছে। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
টানা দ্বিতীয় দিনের পরিবহন ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়া যাত্রীরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন
টানা দ্বিতীয় দিনের পরিবহন ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়া যাত্রীরা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে নাটোর শহরের তিনটি বাসট্যান্ডে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীবাহী বাস না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে স্বল্প দূরত্বের ছোট ছোট বাহনে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন তারা। এতে ৩ থেকে ৪ গুণ অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
হরিশপুর বাসট্যান্ডে আসা শামীমা আক্তার নামে এক যাত্রী জানান, শনিবার সকাল ৯টায় ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার কথা তার। তাই এক দিন আগেই তিনি ঢাকায় যেতে হরিশপুর বাসট্যান্ড এসেছেন। এখন তাকে ভেঙে ভেঙে ঢাকায় যেতে হবে। এর ফলে অর্থ ও সময় দুই-ই অপচয় হবে।
সিংড়ায় যেতে মাদ্রাসা মোড় বাসট্যান্ডে এসেছেন সাহেদা খাতুন। তিনি বলেন, সকাল ১০টায় এনজিও ভিজিট রয়েছে তার। সরাসরি যানবাহন না থাকায় নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারছেন না তিনি।
এর আগে মহাসড়কে নছিমন ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন, পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে গত ২৬ নভেম্বর নাটোরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ৮ জেলার ১৭টি সংগঠন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দেয়। নির্ধারিত সময়ে দাবি পূরণ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটে যায় সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৯:১২ ২৩৩ বার পঠিত