শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

তিস্তা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » তিস্তা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়
শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২



তিস্তা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : সুুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বেক্সিমকো কোম্পানিলিমিটেড এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান তিস্তা সোলারপ্লান্ট উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটি দেশের অর্থনীতিতে গতি আনবে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র দাবি করেন তারা। উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিরসন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা ও কৃষিখাতের উন্নয়নে অবদান রাখবে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে শুভ উদ্বোধন হতে পারে দৈনিক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের বৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পতিস্তা সোলারপাওয়ার প্লান্ট এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

তিস্তা নদীর ওপারে কুড়িগ্রামের উলিপুর আর এপারে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ এবং পাশেই রংপুরের পীরগাছা উপজেলা। এই তিন উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগস্থলে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটির অবস্থান।
অতীতে যেখানে যেতে সাহস পেতেন না অনেকেই, ফলতোনা কোনো ফসল সেখানে যাতায়াতের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি সংযোগ সড়ক। কাজের সুবিধার্থে ও প্রকল্পের তদারকির জন্য ভিতরেও রয়েছে কয়েকটি ছোট ছোটরাস্তা। প্রকল্পটি উদ্বোধন হলে স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে প্রায় ২ সহস্রাধিক লোকের। ইতো মধ্যেই জীবন মানে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে স্থানীয় অধিবাসীদের। স্থাপিত হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা। এলাকার মৃত মানুষের সমাধিস্থ করার কোনো সুনির্দিষ্ট জায়গানা থাকায় কর্তৃপক্ষের অনুদানে করা হয়েছে একটি কবর স্থানও। এছাড়া অনুদানও দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসায়।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের দিকে নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই দুর্গম চরের তপ্ত বালু রাশির পরিত্যক্ত প্রায় ৬০০ একর জায়গায় তিস্তা পাওয়ারপ্লান্ট নামে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে বেক্সিমকো পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ৮৫টি মাউন্টিং পাইলসযার ওপরে বসানো হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার সৌরপ্যানেল। সারি সারি সাজানো সৌর প্যানেলের সৌন্দর্য দৃষ্টি কেড়ে নেবে যে কারো।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এসব সৌর প্যানেল থেকে ১২০ টিইন ভার্টারের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এজন্য ২৮ টি বক্স ট্রান্সমিশনে সংযোগ স্থাপন, সাবস্টেশনসহ ১২০ কেভি এ ট্রান্সমিশন টাওয়ার নির্মাণ এবং জাতীয় গ্রীডে সংযুক্তির জন্য তিস্তা সোলার পাওয়ার প্লান্ট থেকে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্যন্ত ৩৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার লম্বা সঞ্চালন লাইন তৈরি করা হয়েছে। এই লাইনের মাধ্যমেই সুন্দরগঞ্জের কেন্দ্রটি থেকে রংপুর গ্রিডসাবস্টেশনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:১৬:১৬   ২৬৪ বার পঠিত