শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২

সরিষাবাড়ীতে মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষায় বাধাদানে সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিবর্ষণ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সরিষাবাড়ীতে মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষায় বাধাদানে সংঘর্ষ, পুলিশের গুলিবর্ষণ
শনিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২২



---

ইসমাইল হোসেন জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসার অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ করা সহ পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় ও মাদ্রাসার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের আদ্রা আঃ গফুর জয়নুল আবেদীন আলীম মাদ্রাসার শূন্য ও সৃষ্ট পদে
৬ জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

যার প্রেক্ষিতে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী নিজ মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরীক্ষার দিন সকালে এসে মাদ্রাসার শিক্ষক মন্ডলী দেখতে পায় মাদ্রাসার অফিস কক্ষসহ শ্রেণীকক্ষ গুলোতে কে বা কারা রাতের আঁধারে অন্য তালা লাগিয়ে রেখেছে।

পরে এ বিষয়টি মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম শাহীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাখাওয়াত আলম মুকুল কে জানালে তিনি পুলিশ নিয়ে তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন।

এ সময় আদ্রা হাজীপাড়া গ্রামের আবুল হাসেম এর তিন ছেলে রেজাউল,মমিন ও মোর্শেদ এসে পরীক্ষা বন্ধের দাবিতে বাধা প্রদান করে এবং অশ্লীল আচরণ করে। পরে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপর তারা ক্ষুদ্ধ হয়ে হামলা করে। এমতাবস্থায় পুলিশ চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

পরে ডিজির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ২৬জন নিয়োগ পরীক্ষার্থী পুলিশি নিরাপত্তায় সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে লিখিত পরীক্ষা সহ ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ৬টি পদের বিপরীতে প্রায় ৫০ জনের অধিক আবেদন করলেও যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষার অনুমতি দেওয়া হয় ৩৭ জনকে। পরে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উপাধ্যক্ষ পদে ৩জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে ৮জন, অফিস সহকারী হিসাবরক্ষক পদে ৩জন, আইয়া পদে ৪জন, নিরাপত্তাকর্মী পদে ৫জন ও নৈশ প্রহরী পদে ৩জন।

এদিকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কয়েকজন পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা জানান, সুন্দরভাবেই তারা পরীক্ষা দিতে পেরেছেন এবং মেধা যাচাই এর মধ্যদিয়ে এ নিয়োগ হবে বলে তারা আশাবাদী।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে রাখে। পরে বিষয়টি প্রিন্সিপাল আমাকে জানালে আমি পুলিশ নিয়ে তালা ভেঙে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করি। পরীক্ষা নেয়ার পূর্বে স্থানীয় কিছু ছেলেরা চাকুরীর দাবি তুলে, পরীক্ষা স্থগিত করার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে তাদের ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিবেশ শান্ত করে এবং পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী চাকুরী দেওয়া হবে। তবে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৩:৩১   ২৯৯ বার পঠিত