বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

রংপুর সিটি নির্বাচনে সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী  

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রংপুর সিটি নির্বাচনে সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী  
বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২



রংপুর সিটি নির্বাচনে সরে দাঁড়ালেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী  

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউর জামান বাবু। বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
আজ দুপুরে নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাত করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন আতাউর জামান বাবু। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু তুষার কান্তি মণ্ডল, সহসভাপতি আবুল কাশেম প্রমুখ। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আতাউর জামান বাবু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়াকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলাম। আমরা সবাই একসঙ্গে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করবো।
এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু বলেন, দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আতাউর জামান বাবু মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমরা তার সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এখন সবাই এক হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া সাংবাদিকদের বলেন, দলের সকল নেতাকর্মী আমরা একটি পরিবার। পরিবারে আবেগ, ক্ষোভ থাকতেই পারে। তবে সেই আবেগ দীর্ঘস্থায়ী নয়। দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে আতাউর জামান বাবু মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমরা এখন সকলে এক হয়ে নৌকার বিজয়ে কাজ করবো এবং বিজয় সুনিশ্চিত করে রংপুর সিটি করপোরেশন মেয়র পদটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দিতে চাই।
এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আতাউর জামান বাবু আজ দুপুরে তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বর্তমানে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, জাসদ, খেলাফত মজলিশ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও দুইজন স্বতন্ত্রসহ মোট ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এবার তৃতীয় বারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের সঙ্গে বর্ধিত এলাকার (সাবেক সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে) আরও ১৮টি ওয়ার্ড যুক্ত করে ২০১২ সালের ২৮ জুন মোট ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু প্রথম নগরপিতা হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মেয়র নির্বাচিত হন। বর্তমানে এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার রয়েছেন চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৯:০০   ২৬৪ বার পঠিত