শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২

 সরকারি জমি থেকে ৩ শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ রাতের আঁধারে

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী »  সরকারি জমি থেকে ৩ শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ রাতের আঁধারে
শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২২



 সরকারি জমি থেকে ৩ শতাধিক গাছ কাটার অভিযোগ রাতের আঁধারে

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে রাতের আঁধারে সরকারি জমি থেকে তিন শতাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে জহিরুল ইসলাম জুয়েল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে হ্যালিপ্যাড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় রেজাউল করিম বিপ্লব নামের এক স্থানীয় যুবক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিয়মবর্হিভূত সরকারি গাছ কাটার অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম জুয়েল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে পড়ে থাকা সরকারি হ্যালিপ্যাডের আড়াই একর জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করে এসব গাছের ফল ভোগ করে আসছিলেন স্থানীয় গরীব মানুষগুলো। এর মধ্যে হঠাৎ করে বুধবার সন্ধ্যায় হ্যালিপ্যাডের অবৈধভাবে কলাগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৩ শতাধিক ফলজ ও ১৬টি বনজ গাছ কেটে নিয়েছেন এই ব্যক্তি।
আফজাল নামের স্থানীয় একজন জানান, জুয়েল নামের ওই লোক গাছ কাটতে আসলে আমি জিজ্ঞেস করি কিসের ভিত্তিতে গাছ কাটতে এসেছেন। সে জানান, জমিটি তিনি সরকারের কাছ থেকে নিরানব্বই বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন। এখানে তিনি পেয়ারা চাষ করবেন।
আফজালের বাবা আকবর আলী প্রতিবাদ ও আক্ষেপ করে জানান, পাঁচ বছর আগে এই হ্যালিপ্যাড সরকারি জমিতে একটি শুকনো গাছ কাটার অভিযোগে মামলা দিয়ে আমাকে সাতদিনের কারাদণ্ড প্রদান করে এসিল্যান্ড। সে মামলায় আমি ৫দিন জেল খাটি ও আমার ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। আজ যে জুয়েল নামের ওই লোক তিনশোর ওপরে সরকারি গাছ কেটে ফেললো তার কী বিচার হবে না? এ ঘটনার বিচার চাই।
সদর ভূমি অফিসের তহশিলদার ফারুক হোসেনের কাছে সরকারি হ্যালিপ্যাডের জমি কাউকে লিজ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, না এ জমি কোনো লিজ প্রদান যোগ্য নয়। এখন পর্যন্ত এ জমিটি কাউকে আবাদের জন্য দেওয়া হয়নি। আর যিনি এ কাজটি করেছেন, তিনি কীভাবে এমনটি করলেন তা জানা নেই। গাছ কেটে থাকলে অপরাধ করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম জুয়েলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
রাতে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী জানান, আমরা জুয়েল ও রশিদ ড্রাইভার নামের দুজনকে জমিটি আবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে দিয়েছি। গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাই জুয়েল যেহেতু গাছগুলো কেটে অপরাধ করেছে। এ ব্যাপারে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি শুনেছি ও একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যানকে ও তহশিলদারকে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। সরকারি জমির গাছ কাটা একটি বড় ধরণের অপরাধ। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৬:৫২   ২৫৫ বার পঠিত