মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান বিদ্রোহ দমনের নামে মানুষ হত্যা করেছে। ১৯৭৭ সালে বিদ্রোহ দমনের কথা বলে ১ হাজার ১৫৬ জনকে হত্যা করেছে জিয়া।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে টাউনহল মাঠে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই। কবরটি অবিলম্বে উচ্ছেদ করা হবে। খুনিরা দিবা স্বপ্ন দেখছে। এসব খুনিদের রাজনৈতিক কবর এ দেশে হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়া এতিমের টাকা চোর। তাদের কথায় নাকি এ দেশ চলবে। আমরা বলি তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, গুম খুনের রাজনীতি শুরু করেছে জিয়া। তাদের হাতে রক্তের ছাপ। তারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে তৃতীয় কোনো শক্তি দিয়ে দেশ চালানোর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ও মায়ের কান্না সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শহীদ কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ এজাহার খান এমপি, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ বীর রিক্রম, দিপ্ত টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান, করপোরাল লরেন্স ডি রোজারি।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন করপোরাল মোবারক আলীর মেয়ে মমতাজ বেগম, সার্জেন্ট সাইদুর রহমান মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান মিয়া লেলিন, সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নূরে আলম, সার্জেন্ট আফাজউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মাসুদুল আলম, সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম, সার্জেন্ট মোফরাকুল আলমের মেয়ে রিমনা বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিদ্রোহ দমনের নামে ১৯৭৭ সালে ষড়যন্ত্রমুলক হত্যাকাণ্ডের শিকার বাংলাদেশ বিমান ও সেনাবাহিনীর ১০০ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:২১:২৬ ২৫৫ বার পঠিত