সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

স্বাস্থ্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে রংপুরে অভিনেত্রী মম 

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » স্বাস্থ্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে রংপুরে অভিনেত্রী মম 
সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২



স্বাস্থ্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে রংপুরে অভিনেত্রী মম 

ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। তবে মাঝে মধ্যে বড় পর্দাতেও দেখা মেলে অভিনেত্রীর। বর্তমানে অভিনয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছেন তিনি।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) এ লক্ষ্যেই কিশোর-কিশোরীদের মাঝে পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও জেন্ডার সচেতনতা নিয়ে কাজ করতে রংপুর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। সেখানে এ কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জানো প্রকল্পের কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করেন ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ খ্যাত অভিনেত্রী।

রংপুরের তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল-দুপুর পর্যন্ত পরিদর্শন এবং কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে আড্ডা দেন মম। কিশোর-কিশোরীদের মাঝে জনসচেতনতা বিষয়ে মম বলেন, বর্তমানে পুষ্টি ক্ষেত্রে অনেক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনও পুষ্টি সচেতনতায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে আমাদের দেশের কিশোর-কিশোরীরা। কৈশোরেই সব কিছু জানা এবং শেখার সময় এবং বাকি সময়টা নিয়মিত প্রাকটিসের মধ্যে থাকতে হয়। এখন শুধু জানলে হবে না, সেটি তাদের জীবনে কাজে লাগাতে হবে। আর এই বিষয়টি আমাদের শিশু-কিশোরদের ভালোভাবে বোঝাতে হবে।

এ ছাড়া ওই দিন সন্ধ্যায় মহানগরীর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিভাগীয় কার্যালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান অভিনেত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমি বিগত চার বছর ধরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় তারাগঞ্জের ঘনিরামপুর বড়গোলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানকার শিশু-কিশোরদের একটা সচেতনতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। যেটা দেখে আমি সত্যি অভিভূত হয়েছি।

প্রসঙ্গত, জয়েন্ট অ্যাকশান ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্প রংপুর ও নীলফামারী জেলার নির্বাচিত ১৬৯টি স্কুলের পাশাপাশি ২৮টি মাদরাসায়ও কাজ করছে। আর এই প্রকল্পের অর্থায়নের দায়িত্বে রয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও সহ-অর্থায়নে অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনে কাজ করছে। সেই সঙ্গে কারিগরি সহযোগিতা করছে কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। আর এটি এবং বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)।

বাংলাদেশ সময়: ১৭:১৮:৪৬   ২১৯ বার পঠিত