বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

রংপুরে সিটি নির্বাচনে ৩ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে যুদ্ধ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রংপুরে সিটি নির্বাচনে ৩ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে যুদ্ধ
বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২



রংপুরে সিটি নির্বাচনে ৩ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে যুদ্ধ

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : প্রতীক বরাদ্দের পরপরই জমে উঠেছে রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৯ মেয়র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। তারা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কড়া নাড়ছেন ভোটারদের দরজায়। তবে প্রার্থীদের তিনজনের মধ্যে ভোটযুদ্ধ হবে বলে ভোটাররা মনে করছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনি মাঠ যাই হোক না কেন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এবং আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলনের মধ্যে। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যদি শেষ পর্যন্ত মান-অভিমান ও দলের কোন্দল দূর করতে না পারেন তাহলে লতিফুর রহমান মিলন ভালো ফলাফল করতে পারেন বলে মনে হচ্ছে। এ ছাড়া জাসদের প্রার্থী শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
এদিকে দলের মধ্যে নীরব কোন্দলে বেকায়দায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। দলীয় সূত্র জানায়, এবার রসিক নির্বাচনে ডালিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি দলের নেতাকর্মীদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত। এ কারণে দলের মধ্যে দুজন নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউর জামান বাবু দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সরে দাঁড়ালেও মাঠে রয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লতিফুর রহমান মিলন। তার সঙ্গে দলের তৃণমূল পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মীও যুক্ত হচ্ছেন। আর দলের কোনো কোনো নেতাকর্মী পদপদবি বাঁচাতে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে থাকার কথা বললেও মাঠের পরিস্থিতি ভিন্ন। মনোনয়ন বঞ্চিতরাও কতটুকু আন্তরিক তা বোঝা যাচ্ছে না। ফলে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ফলাফল নিয়ে অনেকই চিন্তায় পড়েছেন। এ ছাড়া তিন বছর ধরে রসিক নির্বাচনের জন্য জোর প্রস্তুতি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙা রেখেছিলেন মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল। একইভাবে নিজেকে প্রার্থী হিসাবে পরিচিতির মাঠে ছিলেন দলের মহানগর কমিটির সভাপতি সাফিউর রহমান সাফি। কিন্তু তাদের কাউকে প্রার্থী না করায় দলের নেতাকর্মীরাও চরম হতাশায় পড়েছেন।
অপরদিকে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার পক্ষে একজোট হয়ে নির্বাচনি মাঠে রয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
নির্বাচন অফিস জানায়, মেয়র পদে ৯ জন ছাড়াও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন মোট ২৫৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৫:০৬   ২৮৬ বার পঠিত