কানাডার অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়। হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এই দিবসটি পালন করা হয়।
‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বুদ্ধিজীবীগণ এবং অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার ড. খলিলুর রহমান দিনটিকে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বাঙালি জাতির নিশ্চিত বিজয় আঁচ করতে পেরে পাক হানাদারবাহিনী দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দেশের মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। পাক হানাদারবাহিনীর দোসর ও স্বাধীনতাবিরোধী, রাজাকার, আলবদর আলশামস বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বহু বুদ্ধিজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়। বাংলাদেশ যাতে আর কখনো মাথা তুলে দাড়াঁতে না পারে, সেটাই ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য। তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য অটোয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কানাডা সরকারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩০:৪৫ ২০৭ বার পঠিত