ফ্রিডম অপারেশন’র সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নতুন জীবন পাওয়া দুই জমজ বোনকে দেখতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সস্ত্রীক আজ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) গেছেন। এ সময় তার স্ত্রী মন্ত্রী দুই বোনের সার্বিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
আজ মহান বিজয় দিবসে তাঁরা সিএমএইচ-এর পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাবেয়া ও রোকেয়া, তাদের মা-বাবা এবং তাদের চিকিৎসায় নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে তাদের কুশলাদি জানেন।
এসময় সিএমএইচ-এর কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমদ উপস্থিত ছিলেন। ড. মোমেন জমজ দুই বোনের চিকিৎসার অগ্রগতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি সিএমএইচ এর সুন্দর ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সিএমএইচ এর কমান্ড্যান্ট ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য গত ১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে জোড়া মাথার জমজ বাচ্চা রাবেয়া ও রোকেয়া’কে একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি দল সফলভাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পৃথক করে। পৃথকীকরণের পরে অস্ত্রোপচারের ক্ষত স্থানের কিছু জটিলতার জন্য তারা বর্তমানে সিএমএইচ ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকগণ তাদের জানান, তিন বছর ধরে চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পঞ্চাশটির অধিক অপারেশন করে জমজ এই বাচ্চা দুটিকে সফলভাবে পৃথক করা সম্ভব হয়েছে এবং তারা এখন স্বাধীন জীবন উপভোগের সুযোগ পেয়েছে। চিকিৎসকরা আরো জানান, বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির প্রায় ১২৫ জন ডাক্তার-নার্স ও অন্যান্য সহকারীদের আন্তরীক সেবাদানের ফলে দুজনই সুস্থ আছে। তারা জানান, বিশ্বে এ যাবত ১৮/১৯টি এধরনের অপারেশন হয়েছে যার মধ্যে ৯০% ভাগ রোগী মারা গেছে। এই জমজ দুই বোনের মধ্যে রাবেয়া সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে তবে রোকেয়ার আরেকটি অপারেশন করা হয়েছে।
হাঙ্গেরীর চিকিৎসক গ্রেগ পাঠাকি ও তার দল প্রতি বছর বাংলাদেশে এসে অনেক অপারেশন করেন। ড. গ্রেগ পাঠাকি হাঙ্গেরীতে বাংলাদেশের অনারারী কনসাল হিসাবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ও বদান্যতায় শিশু দুটি এবং তাদের অভিভাবকরা এখন তাদের সুন্দর জীবন প্রাপ্তির আশা পূরণ হওয়ায় রাবেয়া ও রোকেয়ার মা-বাবা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
রাবেয়া ও রোকেয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু চকলেট-বিস্কুট উপহার দেন এবং মা-বাবাকে ফুলের তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩২:০৬ ২১৯ বার পঠিত