রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

সাংস্কৃতিক আন্দোলনেই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ নিহিত ছিল : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সাংস্কৃতিক আন্দোলনেই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ নিহিত ছিল : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২



---

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলনেই স্বাধীনতা আন্দোলনের বীজ নিহিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সংস্কৃতিকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধাদের দেশপ্রেমে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিল।
আজ বিকালে রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পথ বেয়েই ১৯৫৪ এর নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের জয়লাভ, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের পথ বেয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম লাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তাৎপর্য’-শীর্ষক এ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কে এম খালিদ আরো বলেন, ষাটের দশকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্টি হওয়া ছায়ানট, উদীচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আরো বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ধারাবাহিক স্বাধিকার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের অবদান কি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাঠক ও ঘোষক কোনোদিন এক হতে পারে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।
সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক চর্চা রাজনৈতিক অধিকার সচেতন করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সংস্কৃতিকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) হাসনা জাহান খানম।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৮:৪৮   ১৯৩ বার পঠিত