মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

রাজনীতিবিদদের সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়: রাসিক মেয়র

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাজনীতিবিদদের সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়: রাসিক মেয়র
মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২



রাজনীতিবিদদের সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়: রাসিক মেয়র

রাজনীতিবিদদের সাংবাদিকদের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করতে হয় বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করতে হয়। রাষ্ট্র পর্যায়ের নানা সঙ্গতি-অসঙ্গতির খবর আমরা সাংবাদিকদের কাছ থেকেই জানতে পারি। কোথায় কী হচ্ছে, কী করা উচিত তাও আমরা জানতে পারি। এভাবে সমাজের ভালো-মন্দ চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমেই আমরা সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি। আর এজন্যই তাদের সঙ্গে আমাদের একটা সুসম্পর্ক আছে।’

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) ‘লেখক সম্মাননা-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশ, জাতি, সমাজের কাছে লেখক ও সাংবাদিকদের দায়বদ্ধতার বিষয়টি পরিষ্কার মন্তব্য করে রাসিক মেয়র বলেন, আমি বিশ্বাস করি একজন সৃষ্টিশীল মানুষ কখনও জেনেশুনে অন্যায় করতে পারেন না। অন্যায় দেখে চুপ থাকার প্রশ্নও আসে না। এই কারণে লেখক ও সাংবাদিকদের বলা হয় সমাজের বিবেক।

তিনি বলেন, সমাজের প্রতি, মানুষের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতার পরিধি অনেক বেশি। আপনারা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে পত্রিকার পাতায় তুলে আনেন নানা সঙ্গতি-অসঙ্গতির খবর। আপনাদের কলমে উঠে আসে যুক্তিবোধের নানা অনুষঙ্গ। এই কারণে লেখক সমাজনিষ্ঠ একজন সৈনিক।

কাঙ্ক্ষিত সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনের প্রয়াসে লেখকদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক মন্তব্য করে তিনি বলেন, লেখকের তীক্ষ্ণ কল্পনাশক্তি, গভীর আবেগ পাশাপাশি তাদের বাস্তববোধ সৃষ্টির প্রেরণায় গতিশীল। লেখক হবেন সার্বজনীন। কোনো সংকীর্ণতা তাদের আবদ্ধ করতে পারবে না।

মেয়র বলেন, সমাজের বুকে যখন দমন-পীড়ন নিয়তি হয়ে দাঁড়ায়, তখন কলম শাণিত করে লেখকরা উচ্চারণ করেন প্রতিবাদের ভাষা। এর মাধ্যমে লেখকরা ন্যায়বোধ প্রতিষ্ঠা করতে চান, দূরীভূত করতে চান অন্ধকার। তবেই শহিদদের রক্তের বিনিময়ে বহু দাম দিয়ে পাওয়া এই বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বুকে সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র।

বিচারক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস শামীম; কবি, প্রাবন্ধিক-গবেষক মজিদ মাহমুদ; কথাসাহিত্যিক ড. হাসান অরিন্দম; কবি ও গবেষক আমিনুল ইসলাম ও কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সভাপতি মামুন ফরাজী, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান হৃদয় ও দেশের বিশিষ্ট কবি-লেখক ও সাংবাদিকরা।

যারা সম্মাননা পেলেন:

কবিতা বিভাগে লেখক সম্মাননা-২০২২ পেয়েছেন অতনু তিয়াস, আলমগীর নিষাদ, সুরাইয়া ইসলাম, পুলক হাসান, মহসিন হোসাইন, চৌধুরি ফেরদৌস, আব্দুর রহমান মল্লিক, মু আ কুদ্দুস, দীপক ভৌমিক, দীপংকর দীপক, তুহিন তৌহিদ, জিয়া হক, নাদিম নিশাত, জোবায়ের আহমেদ নবীন, বিউটি হাসু, মোহাম্মদ আলম, সাজু আহমেদ, নূরে আলম জীবন, আ ফ ম মশিউর রহমান ও নাসরিন গীতি।

ইতিহাস ও গবেষণা বিভাগে লেখক সম্মাননা-২০২২ পেয়েছেন মোহাম্মদ নূরুল হক, দীপংকর গৌতম, কাজী আলিম-উজ-জামান, অঞ্জন আচার্য, মুস্তফা মনওয়ার সুজন, কায়কোবাদ মিলন, লিয়াকত আলী, শরীফ আবদুল গোফরান, জাকির আবু জাফর, রীতা ভৌমিক, শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ, আহমাদ মতিউর রহমান, ইমরান মাহফুজ, আনিসুর রহমান এরশাদ, জহির উদ্দিন বাবর, আল মামুন, রনি আধিকারী, ফিরোজ এহতেশাম, সানজিদা সুলতানা, কাওসার বকুল ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।

গল্প ও উপন্যাস বিভাগে সম্মাননা পেয়েছেন শান্তনু চৌধুরী, লাবণ্য লিপি, কামাল হোসেন টিপু, ইমন চৌধুরি, রনি রেজা, মফিদা আকবর, আশরাফুল ইসলাম, আরিফ মজুমদার, জামাল উদ্দিন জামাল, সাখাওয়াত হোসেন, মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ, অশোকেশ রায়, শতাব্দী আলম, রণজিৎ সরকার, জিয়াউদ্দিন খোকা, সাবিরা ইসলাম, তাসনিম সুলতানা, আবুল হোসেন খোকন, রেজাউল রহমান রিজভী, নীলা মল্লিক, তানভীর আলাদীন, হোসেন শহীদ মজনু, শান্তা ফারজানা, ইব্রাহিম খলিল জুয়েল, শামীম ফেরদৌস, শফিক হাসান, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মাহমুদুল হক জাহাঙ্গীর, সাইফ বরকতুল্লাহ ও মাহতাব শফি।

অনুবাদ বিভাগে লেখক সম্মাননা পেয়েছেন প্রমিত হোসেন, সাহাদত হোসেন খান, মাহফুজুর রহমান মানিক ও মলয় পাঁড়ে।

শিশু সাহিত্যে অদ্বৈত মারুত, আশিক মুস্তাফা, মনসুর হেলাল, মামুন রশীদ, আবিদ আজম, নাসির হেলাল, শেখ আব্দুল্লাহ নূর, মাসউদুল কাদির, ইমরুল ইউসুফ, আজরা পারভীন সাঈদ, সাইফুদ্দীন ও ফারহানা তানিয়া লেখক সম্মাননা-২০২২ পেয়েছেন।

ভ্রমণ ও বিজ্ঞান বিভাগে লেখক সম্মাননা পেয়েছেন জাহাঙ্গীর সুর, আসিফ, সুমন ইসলাম, নাজমুল হক ইমন, শর্মিলা সিন্ড্রেলা, এখলাছ হক, কাজী রফিক ও কে এম শহীদুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:১৯:৪৬   ২১১ বার পঠিত