বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

৩ বছর ধরে বন্ধ বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ৩ বছর ধরে বন্ধ বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন
বুধবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২২



৩ বছর ধরে বন্ধ বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে ভ্রমণপিপাসু ও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। করোনার শুরুতে বন্ধ হলেও এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও ইমিগ্রেশনটি চালু হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত ইমিগ্রেশনটি চালু করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, এই ইমিগ্রেশন পার হলেই ওপারে রাধিকাপুর রেলস্টেশন থেকে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রুটে রয়েছে ট্রেনের ব্যবস্থা। বর্তমানে বাধ্য হয়ে এই অঞ্চলের মানুষকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ভারতে যেতে হচ্ছে। এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ থাকায় দুই দেশের যাত্রী পারাপারে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সাজেদুল চৌধুরী বলেন, করোনার আগে আমি নিয়মিত কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে যেতাম। তবে এখন যেতে পারি না। হিলি ইমিগ্রেশন পার হয়ে ডাক্তার দেখাতে যেতে হয়। বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন দিয়ে গেলে সময় ও খরচ দুটোই কম ছিল। এখন সবই বেশি লাগছে। আমরা চাই দ্রুত ইমিগ্রেশনটি চালু করা হোক।
বিরল উপজেলার আজিমপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, হিলি অথবা অন্যান্য ইমিগ্রেশন দিয়ে সময় ও খরচ দুটোই বেশি লাগছে আমাদের। এই পথ দিয়ে ভারতে গেলে ওপারেই রয়েছে রাধিকাপুর রেলস্টেশন। যেখান থেকে সহজেই যাওয়া যায় কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রুটে।
বিরল ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের সিইও মোহাম্মদ নাসিম জানান, ২০২০ সালের ১৩ মার্চ করোনাকালীন এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই এই ইমিগ্রেশন চালু করার কথা রয়েছে।
বিরল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশনটি বহু পুরোনো রুট। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০০-১৫০ যাত্রী যাতায়াত করতেন। করোনাকালে বন্ধ হয়ে যাওয়া এই পোর্টটি এখনো খোলেনি। প্রতিদিন আশপাশের পাসপোর্টধারীরা খোঁজ নিচ্ছেন। কবে খুলবে ইমিগ্রেশনটি? আমাদের এখানে সবকিছু প্রস্তুত রয়েছে। সরকারিভাবে নির্দেশনা দিলেই এদিক দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতে পারবে পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:০০:২১   ২০৭ বার পঠিত