আফগানিস্তানে মহিলাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার ওপর তালেবানের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতির উন্নয়নে আফগানিস্তানের ইসলামপন্থী শাসকদের সাথে জড়িত থাকাই সর্বোত্তম পন্থা।
ওয়াশিংটন সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘আজ যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে আমি হতাশ।’
তিনি বলেন, ‘নারী শিক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে অনেক বাধা থাকা সত্ত্বেও আমি এখনও মনে করি আমাদের লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে সহজ পথ কাবুল এবং অন্তর্বতী সরকারের শাসকদের সাথে জড়িত থাকা এবং এর মাধ্যমেই আমাদের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে।’
ভুট্টো জারদারি বলেন, আফগানিস্তানে আরও অস্থিতিশীলতা বা ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর উত্থানের হুমকি মোকাবিলায় তালেবানের বিকল্প নেই।
তালেবানরা তাদের ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলের তুলনায় একটি নমনীয় পদ্ধতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা ইতোমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়েছে, মঙ্গলবার মেয়েদের জন্য বিশ্ব বিদ্যালয় শিক্ষা বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে।
গত বছর আফগানিস্তান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার পশ্চিমা-সমর্থিত সরকারের পতনের সূচনা করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করে দিয়েছিল যে একটি ইতিবাচক সম্পর্কের মাধ্যমে তালেবানের সিদ্ধান্ত স্থায়ীভাবে জঙ্গিদের তৎপরতার অবসান ঘটাতে পারে।
তবে ভুট্টো জারদারি বলেছেন, আফগান শাসকদের মধ্যে যারা মানবাধিকার ইস্যুতে ভূমিকা রাখতে চায় তাদের জন্য রাজনৈতিক ক্ষেত্র তৈরিতে অর্থনৈতিক সমর্থন নিশ্চিত করা আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১২:২৪ ২০৬ বার পঠিত