সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত আমাদেও যেভাবে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো তা কখনো ভোলার নয়। বাংলাদেশ তা চিরকাল স্মরণে রাখবে।
আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদ মিলনায়তনে সাকসেস ফাউন্ডেশন আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক উৎসব ও সাকসেস অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ বছর দুই বাংলার গুণী ব্যক্তিত্বদের স্ব স্ব কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সাকসেস অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হয়। প্রতিমন্ত্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণিজনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাকসেস ফাউন্ডেশন সুস্থ ধারার সংস্কৃতি বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ ফাউন্ডেশন মোটিভেশন ও মেডিটেশন কার্যক্রমের পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে হতাশ, বিপথগামী ও লক্ষ্যহীন ছাত্রছাত্রীদের সঠিক পথে আনতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
সাকসেস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী।
শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন প্রয়াস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদ্যুৎ কুমার তালুকদার ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কবি অগ্নিশিখা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে অভিনয়ে অধ্যাপক রহমত আলী,কবিতায় মিনার মনসুর, কথাসাহিত্যে ইছহাক খান, আবৃত্তিতে সৈয়দ ইসমত তোহা, সংগীতে মনিরুল ইসলাম, সংগঠক হিসেবে ম. শফিকুর রহমান ও ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এবং ভারত থেকে কবিতায় অরুণ কুমার চক্রবর্তী, অগ্নিশিখা ও আরণ্যক বসু, সংস্কৃতিতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক ডা. পার্থ সারথী মুখার্জী, সংগীতে তন্ময় মুখোপাধ্যায়, প্রশান্তধারা ও শর্বরী চ্যাটার্জী এবং আবৃত্তিতে সুমন মুখোপাধ্যায়কে সাকসেস অ্যাওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৩:০০ ২০১ বার পঠিত