মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : আমনের পর গাইবান্ধায় আলুর আবাদ করে চাষিরা। এতে বাড়তি আয় হয় তাদের। এ কারণে গাইবান্ধায় দিন দিন বাড়ছে আলুর আবাদ। ফলনও ভালো। আলু চাষিরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অন্য ফসলের চেয়ে আলুতে লাভ বেশি হয়। জেলার ৭টি উপজেলায় কমবেশি আলু চাষ হলেও সাদুল্লাপুর, পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি হয়েছে আলুর আবাদ। এখানকার কৃষকরা আমন ধান কাটার পর আলুর চাষ করেন, ইরি-বোরো লাগানোর আগেই ঘরে তোলেন আলু। এতে লাভবান হচ্ছেন তারা।
যেসব এলাকায় আগাম ধান কর্তন করে আলু লাগানো হয়েছে সেসব এলাকায় চলছে শেষ মুহূত্বের পরিচর্যা আর অন্যান্য এলাকায় চলছে পরিচর্যাসহ নতুন আলু রোপণের কাজ। জানুয়ারির প্রথম দিকে এই এলাকার আলু বাজারে উঠতে শুরু করবে।
জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলু চাষি সইদুল ইসলাম জানান, অন্যান্য সবজি সংরক্ষণ করা না গেলেও আলু বারো মাস সংরক্ষণ করা যায়।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. বেলাল উদ্দিন জানান, এক শতাংশ জমিতে জাত অনুযায়ী ২ থেকে ৪ মণ আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় আলু চাষ বাড়াতে মাঠপর্যায়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। বাজারে দাম ভালো ও আলু সংরক্ষণশীল সবজি হওয়ায় কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৫৫০ হেক্টর। তবে ধান কর্তন শেষ হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু চাষ হবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৬:৩৮ ২২৭ বার পঠিত