শীতে শরীর কেমন যেন মলিন হয়ে যায়। ত্বক হয়ে উঠে শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ, চেহারার লাবণ্যতা ও উজ্জ্বলতা কমে আসে এবং তার পাশাপাশি ঠান্ডা লেগে যাওয়া তো আছেই। এ সময়ে যাদের টনসিলের সমস্যা আছে, তাদের জন্য বেশ কষ্টকর হয়ে ওঠে। এসব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চাই শীতকালের অতিরিক্ত যত্ন ও সঠিক খাদ্য নির্বাচন।
অনেকেই শীতের শুরু থেকে ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভোগেন। তাদেরকে শীতকালের শুরুতে সতর্ক হতে হবে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় বিশেষ কিছু পরিবর্তন করার দরকার নেই। তবে ঠান্ডা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। রাতে ঘুমের আগে যদি এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো।
পাশাপাশি ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মধু, তুলসী পাতা, গোলমরিচ, রসুনের ব্যবহার করেন অনেকে। তবে সবটাই করতে হবে শরীর বুঝে। শীতকালে শরীর সুস্থ রাখতে ব্রেকফাস্টে কী খাবেন চলুন জেনে নেয়া যাক।
# চা- শীতের সকালে গ্রিন টি, তুলসি টি, অথবা আদা চা-এর উপকারিতা রয়েছে। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয় তেমনি শরীরও সতেজ থাকে। রুটি- লাল আটার রুটিতে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন বি । ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরে উষ্ণ ভাব এনে দেয়। ভিটামিন বি শরীরকে উষ্ণ রাখে।
# ডিম- ডিম খেতে সবাই ভালবাসে। সিদ্ধ হোক বা পোচ প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবার প্রতিদিন সকালের নাস্তায় রাখেন। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ রয়েছে। মিক্সড ভেজিটেবল- মিক্সড ভেজিটেবলে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার থাকে যা বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ত্বকের লাবণ্য ফিরে আনতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
# স্যুপ- প্রতিদিন সকালে না হলেও শীতের দিনে যে কোনও একটা সময়ে স্যুপ খান। এতে শরীরে শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠান্ডা দূর করে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখে। আবার শীতকালে গরম গরম স্যুপ খেতেও ভালো লাগে। মৌসুমি ফল- প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল অবশ্যই রাখুন। যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা কলা খেতে পারেন।
# মধু- শীতকালে মধুর কোনও বিকল্প নেই। গলার খুসখুস কমানোর পাশাপাশি মধু ঠান্ডা দূর করে। সেই সাথে শরীর উঞ্চ রাখে মধু।
# দুধ- প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ অবশ্যই রাখুন। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা শরীরের জন্য উপকারী। কর্নফ্লেক্স- সকালের নাস্তায় মাঝে মধ্যে কর্নফ্লেক্স খান। তার মধ্যে ফল মিশিয়েও খেতে পারেন।
# ব্রাউন ব্রেড- সাদা ব্রেডের থেকে ব্রাউন ব্রেড অনেক বেশি উপকারী। তাই সাদা ব্রেড ভুলে ব্রাউন ব্রেড খান। ওটস- ওটস খাওয়া শরীরের পক্ষে খুবই ভালো। ওটস অনেক ভাবেই খেতে পারেন। দুধ দিয়ে, খিচুড়ি করে যেটা ভাল লাগে সেভাবেই খেতে পারেন।
# মাখন- সকালের ব্রেকফাস্টে অবশ্যই মাখন খান। মাখন দিয়ে হালকা টোস্ট করে খেতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৬:৫২ ২৫৩ বার পঠিত