মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : চীনে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ এর সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের চতুর্দেশী স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা চেকপোস্টে করোনা শনাক্তের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বন্দরটির ইমিগ্রেশনে ভারত-নেপাল-ভুটান থেকে আসা যাত্রীদের করোনার টেস্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাবান্ধা চেকপোস্টের হেলথ স্ক্যানিং বুথে গিয়ে দেখা যায়, ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আসা যাত্রীদের র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করানো হচ্ছে। তবে বন্দরের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের তল্লাশি কেন্দ্রের মধ্যে ও ইমিগ্রেশন এলাকায় বেশিরভাগ মানুষের মুখে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। তবে কয়েকজন পাসপোর্ট যাত্রীদের মাস্ক পরে আসতে দেখা গেছে।
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, চীনে ওমিক্রন ধরণের বিএফ-৭ উপধরণের কারণে বেশ কয়েকটি দেশে এর সংক্রমণ ঘটেছে। প্রতিবেশি দেশগুলোতে এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় দেশের অন্যান্য স্থলবন্দরের মতো চতুর্দেশী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যেহেতু এ বন্দরে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাণিজ্য ও ইমিগ্রেশন রয়েছে, সেহেতু সেসব দেশের পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও হেল্পারদের করোনা পরীক্ষা করতে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট চালু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সন্দেহজনক কোনো রোগী শনাক্ত হলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখাসহ নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইসিডিডিআরে পাঠানো হবে।
স্বাস্থ্য সহকারী শাহিনুর রহমান শাকিল জানান, সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রথম দিনে ৪৭ জন যাত্রীর র্যাপিড অ্যান্টিজেন করোনা টেস্ট করা হয়েছে। তবে এদের মধ্যে কারোরই করোনা পজিটিভ ছিলো না।
ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রী জয়দেব বর্মন ও মহসীন আলী জানান, ভারত থেকে আসলাম। সেখানে কোন করোনা টেস্ট করাতে দেখিনি। বাংলাবান্ধায় এসে করোনা টেস্ট করানো হলো। তবে এটা ভালো দিক। নিজেও নিশ্চিত হতে পারছি অপরকেও সচেতন করা যাচ্ছে।
স্থলবন্দর ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, চীনসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার ওমিক্রণের নতুন ধরণ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ওমিক্রণের নতুন ধরণ মোকাবেলায় বন্দরে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও ব্যানারের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এ জন্য বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেল্পারদের মাস্ক ব্যবহার করতে হলা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা.মো. রফিকুল হাসান বলেন, সম্প্রতি চীনে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট বিএফ-৭ এর সংক্রমণ দেখা দেয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট শুরু করা হয়েছে। এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে আগত সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাপারে হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। যারা ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবেন তাদেরকে করোনা টেস্ট করা হবে। আর এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৪৪:৪২ ২৩০ বার পঠিত