রাজধানীতে কনকনে শীত পড়ছে। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে সর্বসাধারণের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রাজধানীর খেটে খাওয়া মানুষ।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
এছাড়া পাঁচ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস। তাছাড়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা দেশের আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে।
তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে রিকশাচালক মো. রবিউল সমকালকে বলেন, ‘শীত এত বেশি যে মানুষ বাসাবাড়ি থেকে বেরই হচ্ছে না। ভাড়াও কম। ছুটির দিন হলেও এত কম মানুষ থাকে না রাস্তাঘাটে। কুয়াশা আর বাতাসের কারণে রিকশা চালানো দায় হয়ে যাচ্ছে।’
কারওয়ানবাজারে আসা পান্থপথের গৃহিণী ফারজানা আক্তার বলছিলেন, ‘এত বেশি শীত যে, বাজার করতে আসাটাও কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। সকালে স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়াটাও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা সমকালকে বলেন, ‘জানুয়ারি মাস, শীতেরেই সিজন। শীত থাকাটা আসলে স্বাভাবিক। তবে কয়েকদিন ধরে শীতটা অনেক বেশি, কারণ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যটা কমে গেছে। ঢাকার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশেপাশেই থাকছে, এখনও ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। এজন্য শৈত্যপ্রবাহ বলছি না আমরা। তবে কনকনে শীতের অবস্থা আরও দুতিন দিন থাকতে পারে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৫:৪৪ ১৬৯ বার পঠিত