চীনজুড়ে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় চলতি বছর ১০ লাখ মানুষ মারা যতে পারে বলে আশঙ্কা দেশটির সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞের। এদিকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক সংখ্যা চীন দিচ্ছে না বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা অভিযোগ নাকচ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর সিএনএনের।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, চীনের সাংহাইয়ের একটি হাসপাতাল ঘুরে শুক্রবার (০৬ জানুয়ারি) দেখা গেছে, ইমারর্জেন্সি বেড থেকে শুরু করে লবি এরিয়া, কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শুধু এটি নয়, করোনার বাড়তি রোগীর চাপে দেশটির বেশির ভাগ হাসপাতালে নাজুক অবস্থা। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গণহারে আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়। দেশটিতে চিকিৎসকের সংকট তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইন সেবাখাতগুলো জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ সরবরাহ ও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।
এদিকে চীনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সঠিক দিচ্ছে না বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এদিকে চীনজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় চলতি বছর দেশটিতে ১০ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে বলে আশঙ্কা চীনের সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞের।
এক সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, এই শীতে চীনে করোনায় মৃতের সংখ্যা দশ লাখ বা এর বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে, যা গত দুই বছরের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তবে এখনো সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এ সংখ্যা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।
দেশটিতে উদ্বেগজনকহারে করোনায় আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় চীনা পর্যটকদের ওপর একের পর এক ভ্রমণ বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বিধিনিষেধকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছে চীন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৭:১৮ ২০৭ বার পঠিত #মানুষ