মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

দুই দফা মুক্তিপণের পর ট্যাংকির ভেতর মিলল শিশুর লাশ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দুই দফা মুক্তিপণের পর ট্যাংকির ভেতর মিলল শিশুর লাশ
মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩



দুই দফা মুক্তিপণের পর ট্যাংকির ভেতর মিলল শিশুর লাশ

চকলেটের লোভ দেখিয়ে কৌশলে আশুলিয়ার ছয় বছরের শিশুকে ডেকে নেয় প্রতিবেশী যুবক রাকিব। পরে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। আর এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে অপহরণের নাটক সাজায় অভিযুক্ত। দাবি করা হয় মুক্তিপণ। দুই দফায় মুক্তিপণের টাকা দেয়ার পর বাড়ির সুয়ারেজ লাইনের ট্যাংকির ভেতর মেলে ভুক্তভোগীর লাশ। এ ঘটনায় র‌্যাব গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।

আশুলিয়ার খেজুরবাগান এলাকা। স্থানীয় হেলাল সরকারের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া থাকেন জসিনুর রহমান ও মনি আক্তার দম্পতি। ৪ জানুয়ারি হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় তাদের ৬ বছরের শিশুকন্যা। কোথাও খুঁজে না পেয়ে জানানো হয় বাড়ির মালিকককে। মসজিদে এবং এলাকায় আলাদাভাবে মাইকিং করে জানানো হয় বিষয়টি। এরই মধ্যে বাড়ির মালিক হেলাল সরকারের মোবাইলে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। শিশুটিকে জীবিত ফেরত পেতে দাবি করা হয় ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ।

হেলাল সরকার বলেন, ‘এক ব্যক্তি ফোনে বলে, মেয়েটি আমার কাছে আছে। তাকে জীবিত ফেরত পেতে চাইলে আমাকে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকা দাবি করেই ফোনটা বন্ধ করে দেয় সে। পরে ভাবলাম, যেহেতু টাকা দাবি করা হয়েছে, তাই এটা অপহরণই হবে।’

পর দিন আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। থানা পুলিশের পাশপাশি শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে র‌্যাব। কৌশলে মুক্তিপণ দাবিকারীর সঙ্গে কথা চালিয়ে যেতে থাকেন বাড়িওয়ালা। দুই দফায় প্রথমে ৫ হাজার এবং পরে আরও ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণও দেয়া হয়।

বিকাশের দোকানের তথ্য নিয়ে এ ঘটনায় জড়িত রাকিব নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সংস্থাটি বলছে, চকলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী রাকিব। শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টি জানাজানি হতে পারে এই ভয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

র‌্যাব- ৪- এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবদুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘শিশুটি প্রথমে অপব্যবহার করা হয়। পরে পরিচয় গোপন রাখার জন্য শিশুটিকে হত্যা করা হয়। একটি ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে তাকে ঢুকিয়ে প্রথমে অভিযুক্ত তার খাটের নিচে রেখে দেয়।’

র‌্যাব বলছে, শিশুটিকে হত্যার পর অর্থ আদায়ের জন্য অপরহরণ নাটক সাজিয়েছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত অন্য কারও সম্পৃক্ততার বিষয়টি আমাদের তথ্যে উঠে আসেনি। তবে এর সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তাকেও খুঁজে বের করা হবে।’

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১:১৩:৫৮   ১৭০ বার পঠিত