পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কী সম্পর্ক, সেটা তাদের বিষয়। আমরা উভয় দেশের সঙ্গেই ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা করেছে চীন। তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, মিয়ানমারে কিছু সমস্যা হচ্ছে, সে কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমরা বলেছি, এই সংকট দীর্ঘায়িত হলে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হবে। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের প্রশংসা করে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সম্পৃক্ত থাকার কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যের কূটনীতির জন্য অনেক দেশই আমাদের দিকে নজর দিচ্ছেন। আমরা ৩৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছি। এ জন্য তারা আমাদের এখানে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনারা বেশি বেশি আলাপ করেন। নির্বাচন এক বছর পরে হবে। এখনও অনেক দিন বাকি। এগুলো নিয়ে আপনারা বেশি বেশি হইচই করেন। এখন নির্বাচন অনেক সুষ্ঠু হয়।
চীনের নবনিযুক্ত চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং সোমবার (৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি করেন। বিরতির সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে মিলিত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৪:৩৪ ১৮৯ বার পঠিত