পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘প্রয়াত অধ্যাপক ড. আতফুল হাই শিবলী খুব পরোপকারী মানুষ ছিলেন। অন্যের উপকার করতে পারলে খুশি হতেন। মানুষের সাথে সহজেই মিশতে পারতেন এবং আপন করে নিতেন।’
আজ শুক্রবার বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস এ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত শিক্ষক আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. মোমেন বলেন, শিবলীর মনটা ছিল অনুসন্ধিৎসু। ছোট বোনের স্বামী হলেও তিনি ছিলেন আমার সহকর্মী ও বন্ধুর মতো। তিনি যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন তখনও অন্যের উপকারের জন্য চিন্তা করতেন। তাঁর মতো মানুষকে হারানো আমাদের পরিবার এবং দেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে আতফুল হাই শিবলীর স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন, অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীর সহ-ধর্মিণী নাজিয়া শিবলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা খাতুন এবং আতফুল হাই শিবলীর সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীর স্মৃতিচারণ করে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তিনি শিক্ষক হিসেবে, গবেষক হিসেবে, প্রশাসক হিসেবে, নীতির প্রশ্নে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মানুষকে তিনি সহজেই আপন করে নিতেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের উদ্যোগে প্রকাশিত আতফুল হাই শিবলী স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। অনুষ্ঠানে শেষে প্রয়াত আতফুল হাই শিবলীর রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৪৭:৩৫ ২০৭ বার পঠিত