মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও উত্তর পশ্চিমের বয়ে যাওয়া ঠান্ডা বাতাসে নীলফামারীতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষ রয়েছেন দুর্ভোগে।
গত তিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালেও তাপমাত্রা একই অবস্থা।
জানা গেছে, পৌষের শুরু থেকেই নীলফামারীতে শীত বাড়তে শুরু করে। তবে গত তিন দিন থেকে অব্যাহত হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এখানে ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সারা দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় বিকেল থেকেই পড়তে শুরু করে কুয়াশা। শৈতপ্রবাহের কারণে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি মতো ঝরছে কুয়াশা।
রেলস্টেশন এলাকার জোবেদা, নসিমন, হাবিবা, ফকরুল, শামীম, ফয়সাল জানান, প্রচণ্ড শীতের কারণে আমাদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। গরম কাপড়ের অভাবে ছেঁড়াফাটা কাথা-কম্বল দিয়ে রাত পার হচ্ছে না। হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল। এ পর্যন্ত আমাদের কেউ শীতবস্ত্র দেননি।
ইপিজেড শ্রমিক, রোখসানা, জরিনা, ময়মুনা, সাবিহা, হাসনা, মো. কমির, নিয়ামুন, আখতারুল বলেন, এত শীত যে বাড়ি থেকে বের হতে ইচ্ছা করে না। কিন্তু জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে শীতকে উপেক্ষা করে কাজে যেতে হয়।
কৃষি শ্রমিক ছদরুল, মোমিনুল, কেফায়েত, হাবিব বলেন, সূর্যের মুখ ১২টার আগে দেখা যায় না। আর দেখা গেলেও তার প্রখরতা একেবারেই থাকে না। তাই প্রায় প্রতিদিনই জমিতে কাজে নামতে দেরি হয়। জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এবার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় ৩১ হাজার ৩৬০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৮:০১ ১৭৮ বার পঠিত