ঢাকা সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, ‘আমি এখানে এসেছি দুই দেশের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করতে, যখন বর্তমান বিশ্ব শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে।’
রোববার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ভালো আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ডোনাল্ড লু বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে বিচারবহির্ভূত হত্যার সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রে র্যাবের অসাধারণ অগ্রগতির কথা স্বীকার করা হয়েছে। আমরাও এই অগ্রগতির বিষয়টি স্বীকার করি। এতে প্রমাণ হয়, মানবাধিকার সমুন্নত রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ভালো কাজ করছে র্যাব।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কংগ্রেসে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল করা নিয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে, তালিকায় প্রথমদিকে থাকবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনার বিষয় তুলে ধরে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা কোনো সমস্যা দেখলে বিষয়টি উত্থাপন করি এবং পরামর্শ দিতে পারি। আমরা বাংলাদেশের মতো অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করি।
যুক্তরাষ্ট্রের গঠনমূলক পরামর্শ বাংলাদেশ গ্রহণ করবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন বলেন, কোনো কিছু নিয়ে প্রশ্ন থাকলে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। গঠনমূলক পরামর্শ আসলে, সেটি আমরা অবশ্যই গ্রহণ করব। এর নমুনা আমরা দেখিয়েছি।
খোলামেলা আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ব্যালটের মাধ্যমে সরকারে এসেছে, বুলেটের মাধ্যমে নয়।
ডোনাল্ড লু ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলেও জানান মোমেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০২:২০ ১৮২ বার পঠিত