রাষ্ট্রপতির ভাষণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ, যোগ্য এবং বলিষ্ট নেতৃত্বে বিগত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে তার প্রামান্য দলিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৮ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে দেশের মানুষের জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এ কথা বলেন।
গত ৫ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সপ্তম দিনে আজ অংশ নেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সরকারি দলের সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শফিকুল ইসলাম শিমুল, কাজী কেরামত আলী, নেছার আহমেদ, মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন, দীপঙ্কর তালুকদার, শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, তামান্না নুসরাত বুবলী, শামীমা আক্তার খানম এবং জাতীয় পার্টির সদস্য আহসান আদেলুর রহমান।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ২০০৫ থেকে ২০০৬ অর্থবছরে বিএনপি-জামাত সরকারের রেখে যাওয়া মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসে এই মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে। করোনা মহামারিতেও দেশের রেমিটেন্স ৭১ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০০৬ অর্থবছরে বিএনপি-জামাত সরকারের রেখে যাওয়া সাড়ে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ ২০২২ সালের আগস্ট মাসে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অত্যন্ত দক্ষ ও বিচক্ষণতা ও সফলতার সাথে করোনা মহামারি মোকাবেলা করা হয়েছে। দেশের ১৫ কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেয়া হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ হবে।’
সরকারি দলের সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা অত্যন্ত মজবুত রয়েছে। দেশে এখন প্রায় ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুত থাকায় দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই।
তিনি বলেন, সরকার ভর্তুকি হিসাবে ১৫.১৯৭ কোটি টাকা এবং কৃষকদের মধ্যে ২৯ কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণ করে কৃষি খাতে নাটকীয় সাফল্য এনেছে। এ ছাড়া সারাদেশে বাম্পার আমন উৎপাদন হওয়ায় দেশে কোনো খাদ্য সংকট নেই।
আলোচনায় অংশ নিয়ে শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, সরকার এখন প্রায় ৫০.১০ লাখ দরিদ্র মানুষের মাঝে মাসিক ৩০ কেজি চাল বিতরণ করছে। ১৯৯৭ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সময়ে সরকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৫ লাখ গৃহহীন মানুষকে পুনর্বাসন করেছে।
মীর মোশতাক আহমেদ রবি বলেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির নামে যারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৩:৪৩ ২৬৪ বার পঠিত