যাত্রী চাহিদা পূরণে অবশেষে চট্টগ্রাম-ঢাকা, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর এবং সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে নতুন তিন জোড়া ট্রেন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল। তবে আমদানি করা কোচ আসতে সময় লাগায় বিদ্যমান র্যাক দিয়েই এসব ট্রেন চালানোর প্রস্তাবনা রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে শিগগিরই এসব ট্রেন চালুর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
চাহিদার তুলনায় জোগান একেবারে নগণ্য হওয়ায় রেলওয়ের টিকিট যেন সোনার হরিণ। এর মধ্যে বাস ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় রেলের টিকিটের চাহিদা এখন আকাশ ছোঁয়া। প্রতিটি রুটে অতিরিক্ত ৪ থেকে ৫টি বগি সংযোজন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। আবার ট্রেনগুলোতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী বসে যাওয়ার টিকিট না পেয়ে টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সংকটের চিত্র তুলে ধরে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, প্রতিটি রুটে অতিরিক্ত ৫টি বগি সংযোজনের পরও ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করছেন। সুতরাং, আমাদের এতটাই সংকট চলছে। বর্তমানে ট্রেনের চাহিদা অত্যাধিক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী থাকলেও আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে মাত্র ৫ জোড়া। এগুলো হচ্ছে: সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, মহানগর গোধূলী, তুর্ণা নিশীতা ও চট্টলা।
একই চিত্র চট্টগ্রাম-সিলেট এবং ময়মনসিংহ রুটে। চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে রয়েছে উদয়ন এক্সপ্রেস ও জালালাবাদ এক্সপ্রেস। চট্টগ্রাম-চাঁদপুরে মেঘনা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহে বিজয় এক্সপ্রেস।
ব্যাপক যাত্রী চাহিদা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যমান র্যাক দিয়েই নতুন তিন জোড়া ট্রেন চালুর একটি প্রস্তাবনা রেল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ধরনের রুটে নতুন ট্রেন চালুর একটি বড় ধরনের চাহিদা রয়েছে। আমরা আশা করছি, নতুন কোচ সহসাই চলে আসবে। এরপর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
রেল পরিচালন বিভাগের প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলরত অভিজাত ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেসের একটি র্যাক দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে আরেক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা এক্সপ্রেসের র্যাক দিয়ে সিলেট-ময়মনসিংহ রুটে এবং চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের মেঘনা এক্সপ্রেসের র্যাক দিয়ে একই রুটে আরও দুই জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে; সেই সঙ্গে মাঠপর্যায়ে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যাতে করে একটি ট্রিপ বেশি চলতে পারে।
উল্লেখ্য, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ৪৮টি আন্তঃনগরসহ ১৯৬টি ট্রেন চলার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় বর্তমানে ৫৬টি ট্রেন বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৯:৪০ ১৮০ বার পঠিত