নানা সমস্যা জর্জরিত উত্তরবঙ্গের বৃহৎ নদী বন্দর সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌ বন্দর। বন্দরে পর্যাপ্ত জেটি ও পন্টুনের অভাবে পণ্য ওঠা নামায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শ্রমিকদের। সেইসঙ্গে সেডের অভাব মাসের পর মাস খোলা আকাশের নিচে সারসহ বিভিন্ন পণ্য রাখায় নষ্ট হচ্ছে পণ্যের গুণগত মান। আর খানাখন্দের ভরা রাস্তায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।
বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে আধুনিকায়নের দাবি ইজারাদারের। তবে বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরকে প্রথম শ্রেণির নৌ বন্দরের উন্নীতকরণের জন্য পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
উত্তরবঙ্গের বৃহৎ নদী বন্দর সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরে সার, সিমেন্ট, গম, কয়লা, জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে জাহাজ আসে দেশের বিভিন্ন নৌ বন্দর থেকে। নদী পথে পণ্য পরিবহনে খরচ কম ও নিরাপদ হওয়ায় উত্তরাঞ্চলের সার ডিলার ও ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়েই সারা বছর পণ্য আনা নেয়া করে।
তবে বন্দরে পর্যাপ্ত জেটি ও পন্টুনের অভাবে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করে পণ্য লোড আনলোড করতে হয়। এতে পণ্য জাহাজে লোড আনলোড শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমনকি মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের। সেইসঙ্গে শেড না থাকায় খোলা আকাশের নিচে সার রাখায় অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে সারের গুণগত মানও। আর বন্দরে আসার রাস্তায় খানাখন্দ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান চালকরা।
বাঘাবাড়ি বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে এই বন্দরকে দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীতকরণের দাবি জানান বাঘাবাড়ি নৌ বন্দর ইজারাদার প্রতিনিধির আবুল হোসেন।
আর বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দরের পোর্ট কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ইমন জানান, বাঘাবাড়ি নৌ বন্দরকে প্রথম শ্রেণির নৌ বন্দরের উন্নীতকরণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। সেটি পাস হলেই কাজ শুরু হবে।
প্রতিদিন চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলাসহ দেশের বিভিন্ন নৌ বন্দর থেকে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার সার, গম, কয়লা, সিমেন্টসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রী নিয়ে জাহাজ ভিড়ে বাঘাবাড়ি নৌ-বন্দরে। এছাড়া এখানে পদ্মা মেঘনা যমুনা নামে ৩ টি রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেলের ডিপো রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৪৯:৩৫ ১৯৪ বার পঠিত