মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাল্যবিবাহ বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় (২০১৮-২০৩০) স্বল্পমেয়াদী ১৭২টি, মধ্যমেয়াদী ৩৩ টি এবং দীর্ঘমেয়াদী ৩০টিসহ মোট ২৩৫ টি কার্যক্রম নিয়ে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, মোট ২৪ টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এই কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।
আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেটালে ‘ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন টু এ্যান্ড চাইল্ড ম্যারিজ:লেশনস এন্ড ওয়ে ফর ইমপ্লিমেন্টরী’ ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উদ্বোধন পর্বশেষে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্দিরা বলেন, বাল্য বিয়ে বৈশ্বিক সমস্যা। বাল্য বিয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সম্মিলিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বাল্য বিয়ে এখনই বন্ধ করতে হবে। এ ধরনের বিয়ে মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং নিরাপদ মাতৃত্ব ঝুকি বাড়ায়।
তিনি আরো বলেন,আঠারো বছরের আগে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ আঠারো বছরের পূর্বে মেয়েরা সন্তান ধারণের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে পূর্ণতা অর্জন করে না।
তিনি বলেন, বাল্য বিয়ে আইন সংশোধন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং নারী ও কন্যাশিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের ফলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাল্য বিয়ের হার দ্রুত কমছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্য বিয়ে মুক্ত হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ইউনিসেফ রিপ্রেজেন্টেটিভ শেল্ডন ইয়েট ,ইউএনএফপি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লোকাউস ও লন্ডন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মেলিসা নৈইমেন কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৬:৪২ ১৮২ বার পঠিত