বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) বলেছেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি তাই জাতির বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা সকল পর্যায়ে সঠিক সম্মান পাচ্ছেন।
আজ রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও মুখ্য আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করে বর্তমান সরকার সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। সরকার বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজকে পরিপূর্ণতা দানের লক্ষ্যে ‘ভিশন ২০৪১’ বাস্তবায়ন করেছে। এসব পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।
মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে দেশপ্রেমিক হিসেবে তৈরি করেছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছি ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের লক্ষ্যে। তিনি দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে হত্যা হওয়ায় তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি দেওয়ার সময় পাননি। এখন, সেই কাজটি তারই সুযোগ্যকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার। এ সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি খাতেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। সরকার জনগণের কল্যাণে উন্নয়ন করে যাচ্ছে এবং তাদের প্রশংসনীয় ভূমিকায় দেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতার জন্য শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাঙালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:৩৯ ২০৬ বার পঠিত