সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

রাষ্ট্রপতি ভাষণে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন : সরকারি দল

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » রাষ্ট্রপতি ভাষণে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন : সরকারি দল
সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩



রাষ্ট্রপতি ভাষণে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন : সরকারি দল

রাষ্ট্রপতি তাঁর ১৬৮ পৃষ্টার অনবদ্য ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে পরিকল্পনা, তা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন।
আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা একথা বলেন।
তারা বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যায় তখন স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামাতের গা জ¦লে। তারা তাদের দেশী-বিদেশী মিত্রদের নিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা থামিয়ে দিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।
গত ৫ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ী বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ী এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার একাদশতম দিনে আজ অংশ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সরকারি দলের সদস্য এসএম শাহাজাদা, আলী আজম, পংকজ নাথ, মো. নজরুল ইসলাম (বাবু), আশেক উল্লাহ রফিক, বেগম হাবিবা রহমান খান, জাতীয় পার্টির সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ (আইসিটি) বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। ১ লাখ ৫৭ হাজারের বেশি শিক্ষককে সরকারি করেন। এর মধ্যদিয়ে শিক্ষার অগ্রযাত্রা শুরু হয়। এরপর ২১ বছরে কোন সরকারই শিক্ষার দিকে তাকায়নি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর ২৬ হাজার ১৯৪ স্কুল সরকারি করেন, ৩ লক্ষাধিক শিক্ষককে সরকারি করেন। প্রধান শিক্ষকের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করেন। শিক্ষকতের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করাসহ প্রথমিক শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ একটি যুগান্তকারী ভাষণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা তাঁর ভাষণে তুলে ধরেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরবর্তী নির্বাচন নয়, পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন। ২১০০ সালে বাংলাদেশ কেমন হবে, তিনি সেই ডেল্টা প্ল্যান করেছেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের ঘোষণা করেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা বলেন তা করে দেখান। অন্যরা যেখানে থেমে যান, বলেন অসম্ভব, বঙ্গবন্ধু কন্যা সেখানে বলেন-ইয়েস সম্ভব। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল তার বাস্তব প্রমাণ।
তিনি তার মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিগত ৪ বছরে ১৪ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। গত ১৪ বছরে নদী ভাঙ্গন সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে কমে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমে এসেছে অর্থাৎ নদী ভাঙ্গন ৩ গুণ কমেছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘বাঙালি জাতি চায় বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশ পরিচালিত হোক। কারণ দেশের মানুষ বিশ^াস করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা থাকলে তারা নিরাপদে থাকে, তাই যত ষড়যন্ত্র আর চক্রান্তই হোক দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ দিবেন। আর ষড়যন্ত্রকারী বিএনপিকে অতীতের মতো এবারো প্রত্যাখ্যান করবে।’
তারা বলেন, দেশের মানুষের গণতন্ত্র হরণকারী স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামাত দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। অথচ এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে এদেশের অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে জীবন দিতে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৬:৫১   ১৮৮ বার পঠিত