স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-বিএনপি চক্রের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে এটা দেশের মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা একথা বলেন।
সংসদ সদস্যরা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তাঁর সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হবে।
তারা বলেন, এদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে চায়। কারণ তিনি দেশের মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দেন তা তিনি রক্ষা করেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
গত ৫ জানুয়ারি সংবিধান অনুযায়ি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে রাষ্ট্রপতি এ ভাষণ দেন। রীতি অনুযায়ি এ ভাষণ সম্পর্কে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবটি সমর্থন করেন সরকারি দলের সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার।
ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনার চতুর্দশতম দিনে আজ অংশ নেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দীন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, সরকারি দলের সদস্য শাহে আলম, একেএম রহমতুল্লাহ, এবি তাজুল ইসলাম, মো. নাসির উদ্দিন ও কাজী কানিজ সুলতানা।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যোগাযোগ, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)সহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্য এবি তাজুল ইসলাম বলেন, “ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দেশকে ডিজিটাল করেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ হবে উন্নত ও স্মার্ট দেশ”।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, “বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে একটি শক্তিশালী দেশে পরিণত হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমন্বিত উন্নয়নের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে। ”
সরকারের সাফল্যের বিস্তারিত তুলে ধরে দেশকে শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করার জন্য সময়োপযোগী ভাষণ দেয়ার জন্য সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে তারা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের জন্য গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৭:২৫ ১৮৭ বার পঠিত