উত্তর কোরিয়াকে রুখতে চলতি ফেব্রুয়ারি থেকেই যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করবে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সিউলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এ সময় তথ্য আদান-প্রদানের পাশাপাশি নানা ধরনের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহারের কথা জানায় মিত্র দেশ দুটি।
গেল বছর একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে ২০২২ সালে ২৭ বার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় দেশটি। এমনকি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তেও দ্বিধাবোধ করেননি দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পাল্টা জবাবে বেশ কয়েকবার যৌথ সামরিক মহড়া চালায় দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ংকে রুখতে এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে ওয়াশিংটন ও সিউল।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং সুপের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এসময় উত্তর কোরিয়ার পরমাণু হুমকি মোকাবিলা করার পাশাপাশি যেকোনো সময় যুদ্ধ প্রতিহত করতে সামরিক মহড়া জোরদার করার ঘোষণা দেন তিনি।
চলতি মাস থেকে শুরু হওয়া এ যৌথ সামরিক মহড়ায় সাঁজোয়া যান, বোমারু বিমানসহ অত্যাধুনিক সব সরঞ্জামাদি ব্যবহারের কথা জানিয়ে লয়েড অস্টিন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষায় প্রতি আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা দেবে।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সব ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেয় দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং সুপ বলেন, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের হুমকি মোকাবিলায় আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সমর্থন জানাব।
তবে ওয়াশিংটন ও সিউলের এমন ঘোষণার পর এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি পিয়ংইয়ং।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৪৩:৩১ ১৬৫ বার পঠিত