বগুড়ার শাজাহানপুরে শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। মাত্র ৪০০ টাকার জন্য বন্ধুর হাতে খুন হন রিয়াজ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারা হলেন: উপজেলার পরানবাড়ীয়ার পূর্বপাড়ার কাওছার (২২), ঝালোপাড়া গ্রামের মাহমুদুল (২০) ও রামপুর গ্রামের সাহান (২০)।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, রিয়াজ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৫টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্থানীয়দের খবরে ভুট্টাক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের বুকসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। তার গলা ও পায়ের রগ কাটা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের একাধিক টিম রহস্য উদ্ঘাটনে নামে। তদন্তে জানা যায়, রিয়াজ তার চাচাতো ভাই কাওছারকে একটি কাজের জন্য ৪০০ টাকা দেন। কিন্তু কাওছার সেই কাজ করেননি। আর টাকাও ফেরত দিতে টালবাহানা করছিলেন। পরবর্তীতে রিয়াজ এলাকার এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে কাওছারকে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ দেন। এতে কাওছার ও তার বন্ধুরা অপমানের প্রতিশোধ নিতে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনা মতে রিয়াজকে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতার দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়নের রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন ভুট্টাক্ষেত থেকে শাহরিয়ার ইসলাম রিয়াজ নামে কলেজছাত্রের মরদেহ পাওয়া যায়। রিয়াজ ওই ইউনিয়ন পরানবাড়িয়া গ্রামের বাবলু মিয়া ছেলে এবং শেরপুর কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। মরদেহ উদ্ধারের পর ওই রাতে রিয়াজের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় পুলিশ পরিদর্শক লুতফর রহমান, শাজাহানপুর থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী উপস্থিত ছিলেন।