তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে হতাহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ভূমিকম্পের আশঙ্কা থেকে বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশও। ইন্ডিয়া ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে দীর্ঘসময় ধরে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। আর এই সংযোগস্থলেই অবস্থান বাংলাদেশের। ফলে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও, বিশেষ করে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, ওই এলাকার মাটির নিচে থাকা অ্যারাবিয়ান প্লেটটি উত্তর দিকে সরে গিয়ে আনাতোলিয়ান প্লেটে ধাক্কা দিলে এই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়।
ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তুরস্ক-সিরিয়ার মতো বাংলাদেশও ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। উত্তরে তিব্বত সাব-প্লেট, ইন্ডিয়ান প্লেট এবং দক্ষিণে বার্মা সাব-প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। আর বাংলাদেশের সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়েকটি প্লেট থাকার কারণে এসব এলাকা বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে।
কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্ডিয়া প্লেট ও বার্মা প্লেটের সংযোগস্থলে দীর্ঘদিন ধরে শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। এখন পর্যন্ত সেই প্লেটে ধাক্কার সূত্রপাত হয়নি। এ কারণে সেখানে হাজার বছর ধরে শক্তি জমা হয়ে রয়েছে।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, ইন্ডিয়া প্লেট পূর্ব দিকে বার্মা প্লেটের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। আর বার্মা প্লেট পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই সেখানে যে পরিমাণ শক্তি জমা হচ্ছে, তা আট মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে।
সুনামগঞ্জ, জাফলং অংশে ডাউকি ফল্টের পূর্বপ্রান্তেও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। এসব ফল্টে ভূমিকম্প হলে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩২:০৯ ২০৩ বার পঠিত