রাজশাহী অঞ্চলের আমবাগানগুলোতে মুকুল আসতে শুরু করায় পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিকরা। এ বছর শীত ও কুয়াশায় আমের মুকুলের তেমন একটা ক্ষতি না হলেও পোকার আক্রমণ ঠেকাতে বাগানে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে। মুকুল আসতে শুরু করেছে রাজশাহীর আমবাগানগুলোতে। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি। সপ্তাহ দেড়েক আগে গাছে গাছে মুকুল দেখা দিলেও সময়ের ব্যবধানে তা আরও বাড়ছে।
রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত শতকরা ২৫ শতাংশ বাগানে মুকুল এসেছে। এ বছর শীত ও কুয়াশায় মুকুলের তেমন ক্ষতি না হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা। তারা বলছেন, এবার আমের মুকুল বেশি হয়েছে। আর আবাহাওয়াও ভালো রয়েছে। এতে ভালো ফলনের আশা জানিয়েছেন তারা। এদিকে মুকুল আসায় বাগান মালিকরা ব্যস্ত ল্যাংড়া, ফজলি, গোপালভোগ, রানিভোগ, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আমবাগান পরিচর্যায়।
এ ছাড়া পোকার আক্রমণ ও মুকুল ঝরে পড়া রোধে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন তারা। বাগান মালিকরা বলেন, পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে খরচ। এ অবস্থায় আম বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের ভালো ফল পেতে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন ফল গবেষণার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেন, ভাইরাসের আক্রমণে গাছের পাতা কালো হয়ে যাচ্ছে। এতে মুকুলের সুরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগের সুপারিশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, জেলায় ১৯ হাজার হেক্টর জমির বাগানে ২ লাখ ৩০ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৯:২৪ ১৮৮ বার পঠিত