ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশে মাতৃ-মৃত্যুহার ও শিশু-মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় হ্রাস পেয়েছে। আমাদের এ ক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে হলে বিদ্যমান সমস্যাগুলোর অতিরঞ্জিত পরিবেশন বন্ধ করতে হবে। উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজেদের উদ্যোগী হতে হবে এবং সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে হবে। সমস্যাগুলো নির্দিষ্টকরণের মাধ্যমে সমাধানের উপায় খুজে বের করতে হবে। সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে সরকারের নিকট উপস্থাপন করা গেলে সরকার তখন অর্থায়ন করতে পারবে।
আজ (শনিবার) বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু “শিশুবান্ধব নগর শিশুর অধিকার; বাস্তবায়ন আমাদের অঙ্গীকার” প্রতিপাদ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে আয়োজিত সংসদীয় আরবান ককাস গঠন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান, সুবর্ণা মুস্তাফা, আরমা দত্ত, শামসুন নাহার, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও আদিবা আনজুম মিতা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, জাতির পিতা বলেছেন, “নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই জনগনকে সম্পৃক্ত করে জনগনের সমস্ত কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব নিবেন।” নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর হবেন, জেলার গভর্নর জেলার সব জনগনের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং প্রশাসনের কর্মকর্তাগন তাঁদের সহায়তা করবেন, এমনটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন শিশুদের পুষ্টি বিকাশে স্কুলগুলোতে ডিম ও দুধ খাওয়ানোর প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে একদিকে মেধাবী ও স্মার্ট নাগরিক তৈরি হবে অন্যদিকে অনেক বেশি উদ্যোক্তা তৈরি হবে যা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
মোঃ শামসুল হক টুকু বলেন, সংবিধানে জাতির পিতা সবকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে গিয়েছেন। আজকের এসডিজির মূলমন্ত্র কেউ পিছিয়ে থাকবেনা, জেন্ডার সমতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ সকল বিষয় তিনি সংবিধানে উল্লেখ করে গিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশন তৈরি করেন এবং ৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যান। এরপর শিক্ষা ব্যবস্থা আবার পিছিয়ে পড়লে শেখ হাসিনা এখন আবার টেনে তুলছেন। সোনার বাংলা গড়তে হলে শতভাগ শিক্ষিত একটি জাতি গড়ে তুলতে হবে।
সংসদীয় আরবান ককাস গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত একটি ডকুমেন্টারি সভায় উপস্থাপন করা হয়।
সভায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯:০৬:৩৯ ১৫৫ বার পঠিত