ভূমিকম্পের পর তুরস্কের ভূখণ্ডে দুটি ফাটলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্প কতটা শক্তিশালী ছিল, ফাটলগুলো তারই প্রমাণ।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ভূমিকম্পের পর তুরস্কের ভূখণ্ডে দুটি ফাটলের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে একটি ফাটল ৩০০ কিলোমিটার, অপরটি ১২৫ কিলোমিটার লম্বা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, ফাটলগুলোর সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর দ্য অবজারভেশন অ্যান্ড মডেলিং অব আর্থকুয়াকস, ভলকানোস অ্যান্ড টেকটোনিকস- কমেটের বিজ্ঞানীরা। সেন্টিনেল-১ নামের একটি স্যাটেলাইট থেকে ভূমিকম্পের আগে ও পরে তোলা ছবি যাচাই করে ফাটল দুটি খুঁজে বের করেছেন তারা।
স্মরণকালের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক ও সিরিয়া। মাত্র ৪৫ সেকেন্ডের ঝাঁকুনির ভয়াবহতা বর্ণনাতীত। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু আর অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি আকাশছোঁয়া।
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক টুইট বার্তায় কমেট জানায়, দুটি ফাটলের মধ্যে বড়টি ভূমধ্যসাগরের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত থেকে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়েছে। ফাটলের ছবি তোলা ছাড়াও ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখে সেন্টিনেল।
ফাটল দুটি নিয়ে কমেটের প্রধান টিম রাইট বলেন, ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হওয়া ফাটলটি দৈর্ঘ্যের দিক দিয়ে একটি রেকর্ড। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হওয়ার বিষয়টিও অস্বাভাবিক। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে তুরস্কেই ২৪ হাজার ৬১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আর সিরিয়ায় ৩ হাজার ৫৫৩। এখনও হাজারও মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কাহরামানমারাস প্রদেশের পাজারসিকে।