ভারতের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে ১২২তম ওরশ শরীফ উপলক্ষে দুই হাজার ১৮২ জন ওরশযাত্রী নিয়ে রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে গেছে স্পেশাল ট্রেন।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১০টার দিকে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাজবাড়ীর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৪টি বগি সংবলিত রাজবাড়ী-মেদিনীপুর ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেন ছাড়ার আগে স্থানীয় এমপি কাজী কেরামত আলীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ওরস যাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া রাজবাড়ীর উদ্যোগে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি ওরশ শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ীতে ফিরে আসবে।
জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে নূরনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ৩২তম ও বড় পীর গাউস-উল-আযম হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (আ.) এর ১৯তম অধস্তন পবিত্র বংশধর আলী আব্দুল কাদের সামশুল কাদের হযরত সৈয়দ শাহ মোর্শেদ আলী আল কাদেরী আল হাসানী আল হুসাইনী আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর ১২২তম বার্ষিক পবিত্র ওরশ শরীফ আগামী শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
ওই ওরস শরীফ উপলক্ষে মঙ্গলবার রাতে আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার উদ্যোগে রাজবাড়ী থেকে ২৪টি বগিতে ১ হাজার ২৬৬ জন পুরুষ, ৮৪১ জন নারী, ৭৫ জন শিশুসহ মোট ২ হাজার ১৫২ জন ওরশ যাত্রী স্পেশাল ট্রেনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে যাত্রা করে। মেদিনীপুরে যাওয়ার জন্য আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া বরাবর আবেদনের পর লটারির মাধ্যমে দুই হাজার ১৫২ জনকে চূড়ান্ত করা হয়। প্রতি বছর রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ওরশ যাত্রীরা মেদিনীপুরে যায়।
রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ কাদেরী খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভালোভাবে মেদিনীপুরের উদ্দেশ্যে ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি ছেড়ে গেছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমনাথ বসু জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজবাড়ী রেলস্টেশনে ট্রেনটি আসে। সারাদিন ট্রেনটি সাজানোর পর রাত ১০টা ১১ মিনিটে ছেড়ে যায়। রাজবাড়ী থেকে দর্শনা পর্যন্ত জিআরপি পুলিশ টিম স্পেশাল গার্ডে নিয়োজিত থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তবে করোনার কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালে ওরশ স্পেশাল ট্রেন যায়নি।