বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের তিস্তা সেতু

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের তিস্তা সেতু
বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩



দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের তিস্তা সেতু

মোস্তাফিজার রহমান রংপুর প্রতিনিধি : গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের তিস্তা সেতু এখন বাস্তব রূপ পেতে শুরু করেছে। সেতুতে বসানো হয়েছে ১৩টি স্প্যান। একটু একটু করে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের সেতুটি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হবে সেতুটি।
জানা গেছে, গাইবান্ধার হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত সেতুটির অবকাঠামো ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ অংশের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে সেতুটি। এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়িত দেশের প্রথম দীর্ঘতম সেতু হতে যাচ্ছে এ তিস্তা সেতু। নির্মাণকাজ শেষ হলে সেতুটির দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে এক হাজার ৪৯০মিটার।
সেতুটিতে বসানো হবে মোট ৩০টি স্প্যান। এরই মধ্যে যার ১৩টি স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্ন বুননের বাকি কাজ। একটু একটু করে সেতু যতই দৃশমান হচ্ছে। স্বপ্নের এই সেতু নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, এ সেতু যেমন তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করবে, তেমনি নদীভাঙন থেকেও রক্ষা করবে তিস্তাপাড়ের মানুষকে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী, চিলমারী থেকে সড়কপথে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার। দূরত্ব কমবে বিভাগীয় শহর রংপুরেরও। পাল্টে যাবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের ধারা, ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
গাইবান্ধা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাবিউল ইসলাম জানান, সেতুর পাশাপাশি এর উভয়পাশে নদীশাসন করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে ৮৮ কিলোমিটার। সেতুটি নির্মিত হলে একদিকে যেমন নদীভাঙন রোধ হবে অন্যদিকে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থান ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির উদ্বোধন করলেও নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করা হবে সেতুটি। এ সেতু চালু হলে গাইবান্ধা কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হবে। রাজধানী ঢাকাসহ অন্যন্য জেলায় যোগাযোগে যেমন খরচ বাঁচবে ও তেমনি বাঁচবে সময়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:২৪:৩৪   ৩০৮ বার পঠিত