দ্
বিতীয়বারের ‘ডেমোক্রেসি সামিট’ আয়োজন করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশকে দুবারই আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে প্রশ্ন করা হলে— উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
ডেমোক্রেসি সামিটে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে ডেরেক শোলের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তারা যাকে ইচ্ছা দাওয়াত দেবে এবং যাকে ইচ্ছা দেবে না। এটি তাদের বিষয়। অনেকগুলো দেশকে তারা দাওয়াত দেয়, যেখানে গণতন্ত্রের নামগন্ধ নাই। আপনাদের মনে রাখা উচিত, বাংলাদেশের গণতন্ত্র দুনিয়ার অন্য যেকোনও দেশের গণতন্ত্রের থেকে ভালো।’
তিনি বলেন, ‘মিশরের মতো দেশে, সেখানে কি গণতন্ত্র আছে? তারাও দাওয়াত পায়। সো ডোন্ট ওয়ারি।’
আমেরিকার ৭৭ শতাংশ লোক, উভয় দলের ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান সবাই বলেছে, আমেরিকার গণতন্ত্র দুর্বল। সেখানে উন্নয়নের অনেক সুযোগ আছে। আমেরিকার যুব সম্প্রদায় ভোট দেয় না। তাদের ভোটার হয় ২০, ২৫ বা ৪৫ শতাংশ বলে তিনি জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। আপনি গণতন্ত্র কাকে শেখাতে এসেছেন। এদেশের লোক জীবন দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য।’
অবাধ নির্বাচন
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে খুব একটা আলাপ হয়নি। কারণ, তারা জানে যে, সব দেশের নির্বাচনে কিছুটা অপরিপক্কতা আছে।’
মার্কিন দল নির্বাচন নিয়ে কোনও আলাপ করতে চাননি জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘তারা জানে যে আমাদের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।’
বিএনপি ও জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রমাণাদি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রমাণাদি দিয়েছি। আমরা অগ্নিসন্ত্রাসের কাহিনিগুলো বলেছি, জীবন্ত লোকে দেখিয়েছি যে, দেখেন কিভাবে এই নারী অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। তিনি বাসের ভেতরে ছিলেন এবং সেখানে তাকে মেরে ধ্বংস করে দেয়।’
সফরের উদ্দেশ্য
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্সিলর ডেরেক শোলে ঢাকায় এসেছেন সম্পর্কোন্নয়নের জন্য।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক করতে চান। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে— বাংলাদেশের সঙ্গে আরও কিভাবে সুসম্পর্ক তৈরি করা যায় এবং সেটির জন্য তিনি এসেছেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইন্দো-প্যাসিফিক বা র্যাবের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু আলাপ হয়েছে যে, বাংলাদেশ খুব ভালো করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব ভালো করছে, বিভিন্ন রকমের চ্যালেঞ্জের মধ্যে।’
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৭:১৪ ১৬৪ বার পঠিত