তুরস্কের আদিয়ামানে এখন হাজার হাজার নতুন কবর। লাশ বহন ও দাফনে দিনরাত কাজ করছেন নগর প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা। এ অবস্থায় দেখা দিয়েছে দাফনের জায়গা সংকট।
ভূমিকম্পের পর তুরস্কে সংকটময় অবস্থা দেখা দিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে কবরস্থানে আসছে একের পর এক লাশ। এসব বহন করছেন সিটি করপোরেশেনের কর্মীরা। কবরস্থানে দেখা যাচ্ছে প্রিয়জনের কবরের পাশে নিথর বসে আছেন স্বজনরা। অনেকে অপেক্ষা করছেন প্রিয়জনের লাশ দাফনের।
আদিয়ামান প্রদেশের ধ্বংসস্তূপ থেকেই উদ্ধার করা লাশের সংখ্যা ছুঁয়েছে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার। এ শহরের ৪টি ও পাশের শহরতলীর আরও বেশ কয়েকটি কবরস্থান মিলিয়ে সংকুলান হচ্ছে না লাশ দাফনের। তুরস্কে ১৯৩৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পকে ছাড়িয়ে গেল এবারের মৃত্যু সংখ্যা। এখনো নিখোঁজ হাজারো মানুষ।
যেসব লাশের পরিচয় মিলেছে, সেগুলো একদিকে দাফন করা হচ্ছে। আর পরিচয়হীন লাশ দাফন করা হচ্ছে অন্যদিকে। সারা দিনই বিরতিহীন কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। তারা বলছেন, এমন দৃশ্য যেন আর কখনো কাউকেই দেখতে না হয়।
এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ভূমিকম্পের পর থেকেই আমরা এখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাশ পরিবহনের কাজ করছি। এটি কেয়ামতের মতো একটি বিপর্যয়, এমন দৃশ্য যেন আর কখনো দেখতে না হয়। আরেকজন বলেন, বিরতিহীনভাবে এখানে কাজ করে যাচ্ছি। মরদেহগুলো এনে দাফনের ব্যবস্থা করছি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের কাহারমানমারাস শহরে আঘাত হানা ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দেয় তুরস্ক ও সিরিয়ার বিশাল একটি অংশকে। শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। সবশেষ পাওয়া খবরে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দুই দেশে ৪১ হাজারেরও বেশি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩১:৩৩ ১৬৭ বার পঠিত #তুরস্কে #দাফনের.জায়গা