পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে ৮টি সেক্টরের আওতায় ১১টি অঞ্চলে ভাগ করে ১৪ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার লক্ষ্যে ১১৩টি অভিযোজনমূলক অ্যাকশন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি উচ্চ অগ্রাধিকার এবং ২৩টি মাঝারি অগ্রাধিকারমূলক অ্যাকশন হিসেবে বিবেচিত। অভিযোজন পরিকল্পনায় চিহ্নিত এসব কার্যক্রম ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে, এজন্য আমাদের প্রায় ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন ডিসেমিনেশন অ্যান্ড ব্রেইনস্ট্রমিং অব ন্যাপ ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ইউএনএফসিসিতে দাখিল করা এ পরিকল্পনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় প্রতিবেদনই না, বরং এটা জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্ব দরবারে আমাদের অবস্থান তুলে ধরবে। সবার মূল্যবান মতামত নিয়ে এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের মধ্যে অভিযোজনমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর আরও জোর দেওয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবার সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে অভিযোজনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মাশালায় আরও বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুন নাহার হেনা এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। কর্মশালায় ন্যাপ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৩:০০ ১৬৩ বার পঠিত