ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি মূল্যবান যোগসূত্র হিসেবে তরুণদের গুরুত্ব দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বন্ধুত্বের দৃঢ় বন্ধন স্থাপনে বাংলাদেশের প্রাণবন্ত ও গতিশীল যুবকদের দক্ষতার প্রতি তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
গত সন্ধ্যায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের সঙ্গে গুলশানে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন (বিওয়াইডি) কর্নার উদ্বোধনকালে হাইকমিশনার এ মন্তব্য করেন। ভারতীয় হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।
ভার্মা আস্থা ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ যুব প্রতিনিধিদলের প্রাক্তন ছাত্ররা বিভিন্ন পটভূমি ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তাদের সম্প্রদায়, তাদের দেশ এবং বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের তাৎপর্য তুলে ধরেন, যার মূলে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের যৌথ আত্মত্যাগ।
অনুষ্ঠানটি ছিল বাংলাদেশ যুব প্রতিনিধিদলের প্রাক্তন ছাত্রদের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপনের কর্মসূচির একটি অংশ।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন হল একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম যা ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ এক্সচেঞ্জের অধীনে পরিচালিত হয়।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো- দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়, নেতৃত্বের বিকাশ এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে, এই প্রোগ্রামটি প্রায় ৮০০ জন বাংলাদেশী যুবককে ভারত সফর করায় এবং দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়াকে উৎসাহিত করে এমন বিভিন্ন কর্মকান্ডে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাক্তন ছাত্রদের জন্য কর্নারে নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করা হবে। বিওয়াইডি কর্নার প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করার, আলাপচারিতা করার এবং তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার জন্য একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে।
এছাড়াও, হাইকমিশন ও যুব প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে আদান-প্রদানকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে অনুষ্ঠানে একটি বিওয়াইডি প্রাক্তন ছাত্র পোর্টালও চালু করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪১:৩০ ১৫২ বার পঠিত