শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩

‘গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কৃষি উদ্যোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে’

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ‘গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কৃষি উদ্যোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে’
শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩



‘গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কৃষি উদ্যোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনের প্রতিটি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে উল্লেখ করে আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু বলেছেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষি উদ্যোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে আয়োজিত ‘আরটিভি এনআরবিসি ব্যাংক কৃষি পদক-২০২৩’ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানটি আরটিভির পর্দায় শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে প্রচার করা হয়।

হুমায়ুন কবির বাবলু বলেন, সারা বিশ্বে যখন করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হয়, তখন খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ২০২০ সালের ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বপ্রথম দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমিকে চাষাবাদের আওতায় আনতে প্রত্যেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি শুধু আহ্বান জানিয়েই থেমে থাকেননি, নিজের বাসভবনে কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। গণভবনের প্রতিটি ইঞ্চি জমিতে তিনি ফসল ফলিয়ে আমাদের সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের কৃষিবিষয়ক অনুষ্ঠানে আমরা তার গড়ে তোলা আধুনিক কৃষি খামার দেখেছি। সাধারণ গৃহস্থ বাড়ির মতোই তার খামারে সব ধরনের উপকরণ রয়েছে।

তিনি বলেন, শুনতে অবাক করার মতো হলেও সত্যি, সম্প্রতি তিনি তার পেঁয়াজখেত থেকে ৪৬ মণ পেঁয়াজ উত্তোলন করেছেন। গণভবনে তিনি চাল, ডাল থেকে শুরু করে হলুদ, মরিচ, তেজপাতা-ধনেপাতাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, এমনকি বোতলা শাকের আবাদও করেছেন। তার গড়ে তোলা গবাদিপশুর খামারে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি যেমন আছে, তেমনই কবুতরও আছে। ফসল ফলাতে জৈব সার ব্যবহার করেছেন। আর সেই জৈব সার তিনি তৈরি করেছেন নিজের খামারের গরুর গোবর থেকে। দীর্ঘদিন পুকুরে মাছের চাষ ধরে করছেন। অল্প জায়গায় মিশ্র পদ্ধতিতে কীভাবে অধিক ফলন ফলাতে হয়, প্রধানমন্ত্রী তা নিজেই করে দেখিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

আরটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমি আমার পরিবারের একটি অভিজ্ঞতা আপনাদের জানাতে চাই, সেটা হলো- খাওয়ার জন্য আমাদের কখনও চাল কিনতে হয় না। গত প্রায় ২০ বছর ধরে আমার মা কৃষিকাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের পৈত্রিক নিবাস নোয়াখালীর সেনবাগে প্রতিবছর ধানচাষ করেন। সেই জমির ধান থেকেই আমাদের সারা বছরের চালের ব্যবস্থা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমি গ্রামে গেলে খুব অবাক হই এটা দেখে যে আমাদের কৃষি ব্যবস্থা কতোটা বদলে গেছে। প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কৃষির যান্ত্রিকিকরণ এমন ব্যাপকভাবে হয়েছে যে এখন আর কেউ গরু দিয়ে হালচাষ করে না, ধানও কেউ হাতে মাড়ায় না। এক খণ্ড জমিতে মিশ্র পদ্ধতিতে এখন ১০ থেকে ১২ ধরনের ফসল ফলানো হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ে আম, আনারস, কলা ও বাদামের বাণিজ্যিক চাষাবাদ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েসন করা এমনকি বিদেশে পড়াশোনা করা ছেলে-মেয়েরাও এখন কৃষিকাজে ঝুঁকছে।

হুমায়ুন কবির বাবলু আরও বলেন, আমাদের শিক্ষিত তরুণরা এখন গরু-ছাগল ও মাছের খামার করার মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করছে। শুধু তাই নয়, অন্যদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আমাদের নগরবাসীরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। তারা এখন ছাদবাগান করছেন, কেউ কেউ বারান্দায় সবজি বাগান করছেন। ছোটো ছোটো এই উদ্যোগগুলো আমাদের খাদ্য নিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখছে। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, উদ্ভাবন, গবেষণা ও সৃজনশীলতায় ক্রমাগত বদলে যাচ্ছে দেশের কৃষি ব্যবস্থা, তাদের মধ্য থেকে আটজন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা ‘আরটিভি এনআরবিসি ব্যাংক কৃষি পদক-২০২৩’ প্রদান করছি। আমি মনে করে, আরটিভির এই উদ্যোগ কৃষিখাতে চলমান সবুজ বিপ্লবকে আরও গতিশীল করবে।

অনুষ্ঠানে দেশের কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় আট ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ‘আরটিভি এনআরবিসি ব্যাংক কৃষি পদক-২০২৩’ প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯:১৫:৫৪   ১৬৭ বার পঠিত