শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

মৈত্রী এক্সপ্রেসের দায়িত্ব ছাড়ছে বিএসএফ, আসছে জিআরপির বিশেষ বাহিনী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » মৈত্রী এক্সপ্রেসের দায়িত্ব ছাড়ছে বিএসএফ, আসছে জিআরপির বিশেষ বাহিনী
শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩



মৈত্রী এক্সপ্রেসের দায়িত্ব ছাড়ছে বিএসএফ, আসছে জিআরপির বিশেষ বাহিনী

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন। বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় অংশে প্রবেশ করলেই এই ট্রেনে থাকা যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। কিন্তু মৈত্রী এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে বিএসএফ সরে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। আর এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিশেষ করে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে।

শুক্রবার (০৩ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসএফের পরিবর্তে মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রী সুরক্ষার দায়িত্বে আসছে ভারতীয় রেল পুলিশ (জিআরপি) এবং আরপিএফ। ট্রেনের নিরাপত্তার জন্য রেল পুলিশ তৈরি করেছে বিশেষ বাহিনী।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের স্মারক হিসেবে স্বাধীনতার পর চালু হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস। তবে মাঝে প্রায় ৪৩ বছর বন্ধ ছিল এই সেবা। এরপর ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল আবারও ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে এই ট্রেন চালু হয়।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে বলেই ভারতীয় অংশে এই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয় বিএসএফ। এমনকি মৈত্রী এক্সপ্রেসে থাকেন কমান্ডো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিএসএফের ২০ সেনা। তাদের হাতে থাকে ইনসাস বা এ কে সিরিজের আগ্নেয়াস্ত্র। কলকাতা স্টেশনে যাত্রী ও লাগেজ পরীক্ষার দায়িত্বও তাদের। ফলে যাত্রীদের একটি ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছিল।

তবে বিএসএফ এখন এই ট্রেনের দায়িত্ব থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে চাইছে। ইতোমধ্যেই বিএসএফের পক্ষ থেকে বিষয়টি আরপিএফ ও জিআরপিকে জানানো হয়েছে। জিআরপি সূত্রের খবর, বিএসএফের এই বাহিনী অন্য জায়গায় দায়িত্ব পালন করবে বলেই এমন পদক্ষেপ। তবে ট্রেন ও যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে।

কলকাতা স্টেশনটি শিয়ালদহ জিআরপি’র অধীনে পড়ে। তাই তারা অন্য স্টেশন থেকে নিরাপত্তাকর্মী না এনে মৈত্রীর জন্য আপাতত ১০ জনের বিশেষ বাহিনী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিশেষ বাহিনীকে উন্নতমানের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানা গেছে।

এছাড়া নতুন এই বিশেষ বাহিনী ট্রেনে ‘অন্তর্ঘাতমূলক কাজ’ রুখতে প্রতিনিয়ত চেকিং করবে। বোমা নিষ্ক্রিয় করতেও সক্ষম থাকবে তারা। কলকাতা স্টেশনে এই টিম যাত্রীদের পরীক্ষা করবে। লাগেজ পরীক্ষার জন্য থাকছে ব্যাগেজ স্ক্যান্যার। এই পরীক্ষার জন্য অত্যাধুনিক মেশিন, হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর এবং অন্যান্য যন্ত্র কেনা হবে বলে জানিয়েছে জিআইপি কর্তৃপক্ষ। আরপিএফ এই ট্রেনে পাহারার দায়িত্বে থাকবে। প্রয়োজনে তাদের সাহায্য করবে জিআরপি।‌

বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৫:০৫   ১৫৫ বার পঠিত   #  #  #