চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেডের প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেন মিজানুর রহমান নামে এক যুবক।
রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয় মিজানুর রহমানকে। তিনি সুস্থ রয়েছেন।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন অক্সিকো লিমিটেডের কারখানার পাশেই লাগানো হারুন সাহেবের ভবন। ভবনটির তিন তলায় ছিল না কোনো কার্যক্রম। এ ভবনেই ইলেকট্রিশিয়ানের দায়িত্ব পালন করতেন মিজানুর রহমান। খালি ভবনটির দোতলার একটি রুমে থাকতেন তিনি।
রোববার (০৫ মার্চ) সরেজমিন দেখা যায়, নিজের রুমের জিনিসপত্র খুঁজে দেখছিলেন সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া সৌভাগ্যবান মিজানুর রহমান।
মিজানুর বলেন, শনিবার বিকেলে বিস্ফোরণের সময় নিজের রুমে ঘুমাচ্ছিলেন ওই ইলেকট্রিশিয়ান। হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনায় রুমের দেয়ালটি ভেঙে পড়ে। সেই সঙ্গে রুমে থাকা সিলিন্ডারটি এসে পড়ে তার গায়ে। আর কিছুক্ষণ ঘরে অবস্থান করলেই দেয়ালটি তার গায়ের ওপর ভেঙে পড়ত।
মিজানুর বলেন, বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ আগে নিজের রুমে ঘুমাতে যান। বিস্ফোরণের পর ভবনের দেয়াল ভেঙে একটি সিলিন্ডার গায়ে এসে পড়লে সেটি সরিয়ে কোনোভাবে নিজের জীবন রক্ষা করেন।
এছাড়া অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের পর পুরো ভবনটির চিত্র পাল্টে গেছে। ভবনের দেয়ালগুলো বিস্ফোরণের পর ভেঙে পড়েছে। নড়বড়ে হয়ে পড়েছে পুরো ভবনটি।
এদিকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কম্পন সৃষ্টি হয় আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। বেশিরভাগ ভবনের কাচের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরের লোহার দরজা ও জানালা পুরোপুরি বেঁকে গেছে। ফাটল দেখা দিয়েছে ভবনের বিভিন্ন অংশে। এত বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনায় হতবাক হন এলাকাবাসী।
সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদৎ হোসেন বিস্ফোরণে ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ৩০ জনকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ (চমেক) বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতদের অনেকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৩৫:২৫ ১৪৮ বার পঠিত