নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কর্তব্যরত কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের এক সদস্যের উপর হামলা চালিয়েছে মোছা: নিলুফা বেগম (৩৪) নামে এক নারীসহ আরো কয়েকজন।
হামলার শিকার ওই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য হলেন মো. সুলতান আহমেদ। উল্টো পথে যান চলাচলে বাধা দেয়ায় তিনি এ হামালা শিকার হন।
পরে স্থানীয় জনতা হামলায় আহত ওই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধারসহ হামলাকারী ওই নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। হামলায় আহত মো. সুলতান আহমেদ নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই দ্বীলিপ কুমার বাদী হয়ে আটককৃত নারী মোছা: নিলুফা বেগম সহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ এ মামলায় নিলুফাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, এ হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটকে ভাইরাল হয়েছে। @safayethossain303 নামে এক টিকটিক আইডি থেকে ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায় ব্যাকগ্রাউন্ডে টিভি অভিনেতা মোশাররফ করিমের একটি নাটকের ডায়ালগের কথা এই ভিডিওর সাথে সংযোজন করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের মাদানীনগর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রোববার দুপুরে উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনেষ্টবল (সদস্য) সুলতান আহমেদ।
এ সময় উল্টোপথে সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাংরোডগামী একটি অটোরিকশা আসতে দেখে থামতে বললে অটো চালক দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নারী যাত্রী নিলুফা সহ রিক্সাটি উল্টে পড়ে যায় এবং ঐ নারী যাত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।
পরে ওই নারী তার মোবাইলের জরিমানা স্বরুপ কনস্টেবল সুলতানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং তার কলার ধরে টানা-হেঁচড়া করে। এ অবস্থা দেখে আশে-পাশের কয়েকজন লোক এসে ঐ নারী সহ পুলিশ কনস্টেবল সুলতান আহমেদকে মারধর করতে থাকে এবং ঐ নারী পুলিশ কনস্টেবলের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় পুলিশের পরিহিত পোশাক ছিঁড়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এসে পুলিশ কনস্টেবলকে উদ্ধার করে এবং ঐ নারীকে আটক করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা এবং অটোচালক রিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে জনতা আটককৃত নারীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) শরফুদ্দিন এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এই ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিডিও ভাইরাল করার প্রসঙ্গে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ রয়েছেন তারা সিদ্ধান্ত নেবেন এ বিষয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৯:৪৬ ২৬৮ বার পঠিত