নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা লি কিয়াংকে (৬৩) বেছে নিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। শনিবার (১১ মার্চ) সকালে বেইজিংয়ে দেশটির পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লি কিয়াংয়ের মনোনয়ন প্রস্তাব দেন। খবর বিবিসির।
লি কিয়াং চীনের সবচেয়ে বড় শহর সাংহাইয়ের সাবেক কমিউনিস্ট পার্টির নেতা। প্রেসিডেন্ট শির ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত তিনি।
লি কিয়াং ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে মোট ২ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়েছেন। এরপর তিনি শপথগ্রহণ করেন। চীনের সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকার, একই সঙ্গে একটি সমৃদ্ধ, শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক, সভ্য, সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশ গড়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রেসিডেন্ট শি যখন চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জেজিয়াং প্রদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব ছিলেন তখন ২০০৪ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত লি কিয়াং তার চিফ অব স্টাফ ছিলেন। কিয়াং একজন বাস্তববাদী মানুষ হিসেবে পরিচিতি। দেশের সংগ্রামী অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার দায়িত্ব এবার তার কাঁধে।
দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের জায়গা নেবেন তিনি। টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা কেকিয়াং আগামী সোমবার (১৩ মার্চ) অবসরে যাবেন।
এদিকে শুক্রবার (১০ মার্চ) তৃতীয়বারের মতো চীনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। দেশটির ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস (পার্লামেন্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে এ নির্বাচন অনুমোদন করেছে।
চীনের পার্লামেন্টে ২ হাজার ৯৫২ সদস্যের সবাই শি জিনপিংকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভোট দেন। সংবিধানে পাঁচ বছর করে দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকার বিধানটি প্রত্যাহার করার প্রেক্ষাপটে এবারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কোনো ব্যক্তি কেবল দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের বিধি ছিল। তবে ২০১৮ সালে তা বিলুপ্ত করেন শি জিনপিং। এতে তৃতীয় মেয়াদেও তিনি দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন।
ঊনসত্তর বছর বয়সী শি ২০১২ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন। মাও সেতুংয়ের পর তিনিই চীনের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫১:৩৭ ১৬৬ বার পঠিত #চীনের #নতুন #প্রধানমন্ত্রী